নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়া হাতিয়ার। এবার চলে এল নাকে ড্রপ। ভারত বায়োটেকের তৈরি এই ড্রপকে এদিন ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য টুইট করে একথা জানান।
বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাসের হানার পর, এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় বিজ্ঞানী-গবেষকরা তৎপর হয়ে ওঠেন। বাজারে আসে টিকা বা ভ্যাকসিন। একাধিক কোম্পানির টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকের মধ্যেই সূঁচের প্রতি একটা ভীতি কাজ করে। বহু তাবড় তাবড় মানুষকে ইঞ্জকেশন নিতে ভয় পেতে দেখা গিয়েছে। তখনই চর্চায় চলে আসে ন্যাজাল ড্রপ ও ওরাল ড্রপের বিষয়টি। সুঁচ না ফুটিয়ে মুখ বা নাকের সাহায্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে গবেষণা চলতে থাকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বই ভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুকারী সংস্থা গ্লেনমার্ক এক বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নাকের ড্রপ আনার কথা বলে। শেষ পর্যন্ত দেশীয় সংস্থা ভারত বায়োটেকের নাকের ড্রপকেই ছাড়পত্র দিল ড্রাগ কন্ট্রোল।
এদিন টুইট করে মনসুখ বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ভারত বায়োটেকের নাকের ড্রপের সীমিত ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল।’ এটিকে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজ্ঞান গবেষণায় সাফল্য বলে বর্ণনা করেন। জানা গিয়েছে, ড্রাগ কন্ট্রোলের ছাড়পত্র পেতে তিনটি ধাপ পেরোতে হয়। ভারত বায়োটেকের নাকের ড্রপ সবক’টি ধাপই সাফল্যের সঙ্গে পেরিয়ে যায়। চূড়ান্ত পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই নাকের ড্রপ নয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মারণ ভাইরাসের ভাইরাল লোড ৯৪ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম। এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভাইরাল লোড ৯৯ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম।