এই মুহূর্তে




কৃষক আন্দোলন নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য, কঙ্গনাকে নিয়ে বিড়ম্বনায় বিজেপি




নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউড অভিনেত্রী ও বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত ফের খবরের শিরোনামে! অভিনেত্রীর একের পর এক পদক্ষেপে বিপাকে পড়ছে গেরুয়া শিবিরও। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি আসন থেকে বিজেপির টিকিটে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়ী হয়েছেন কঙ্গনা রানাউত। আর ভোটে জিতেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে নিজে তো বিপদে পড়েছেনই, সঙ্গে বিপাকে ফেলছে বিজেপি দলকেও। এবার দলের খেলাপ করে প্রত্যাহার করা তিনটি কৃষি আইন পুনরায় কার্যকর করার দাবিতে খবরের শিরোনাম হলেন কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনার এই বক্তব্যে সরগরম রাজনীতি। তবে কৃষকদের নিয়ে কঙ্গনার মন্তব্য এই প্রথম নয়, সাংসদ হওয়ার আগেও একাধিক বেফাঁস মন্তব্য করে ফ্যাসাদে পড়েছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ। তিন বছর আগে মহিলা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ধর্নায় বসার অভিযোগ তুলেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। এরপর শিখদের নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করে আইনী বিপাকে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।

এমনকী কৃষক আন্দোলন নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় মাস কয়েক আগে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে এক মহিলা জওয়ানের হাতে চড় খেয়েছিলেন অভিনেত্রী। এবার প্রত্যাহার করা তিনটি কৃষি আইন পুনরায় কার্যকর করার দাবিতে ফের কটাক্ষের মুখে কঙ্গনা রানাউত। যাতে ভয় গিয়েছে বিজেপি শাহকদলও। এবং তাঁর বেফাঁস মন্তব্যের কারণে বিজেপিও দূরে সরিয়ে গিয়েছে। এবং কঙ্গনার মন্তব্যের দায়ভার নেবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিজেপির শাহকদল। এবারও কঙ্গনার বক্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত বক্তব্য’ বলেছে বিজেপি। গতকাল মঙ্গলবারে করা কঙ্গনা রানাউতের বিতর্কিত মন্তব্যটি হল, ‘কৃষকদের নিজেদেরই এই আইন বাস্তবায়নের দাবি জানানো উচিত। আমি জানি এই বক্তব্য বিতর্কিত হতে পারে তবে প্রত্যাহার করা তিনটি কৃষি আইন আবারও ফিরিয়ে আনা উচিত। কৃষকদের নিজেদেরই এটা দাবি করা উচিত। তিনটি আইনই কৃষকদের জন্য উপকারী, কিন্তু কিছু রাজ্যে কৃষক সংগঠনগুলির বিরোধিতার কারণে সরকার সেগুলি বাতিল করেছে। কৃষকরাই দেশের উন্নয়নের শক্তির স্তম্ভ। আমি তাদের নিজেদের স্বার্থে আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাতে চাই।’ শুধু এ প্রথম নয়, কঙ্গনার বিতর্কিত মন্তব্যগুলি হল…

২৫ আগস্ট ২০২৪

গত ২৫ অগস্ট একটি সংবাদমাধ্যমে কৃষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, কৃষক আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। অভিনেত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে যা হয়েছে তা এখানে (ভারতে) ঘটতে বেশি সময় লাগতো না, যদি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব শক্তিশালী না হতো। এখানে কৃষক আন্দোলন হয়েছে, লাশ ঝুলছে, ধর্ষণ হচ্ছে। কৃষকদের দীর্ঘ পরিকল্পনা ছিল সহিংসতা ছড়ানো, যেমন বাংলাদেশে ঘটেছে। এমন ষড়যন্ত্র… কি ভাবছেন কৃষক…? চীন, আমেরিকা… এরকম বিদেশী শক্তি এখানে কাজ করছে। যদিও কঙ্গনার বক্তব্যের পর বিজেপি স্পষ্টীকরণে জানিয়েছিল, এটা দলের মতামত নয়। কঙ্গনা রানাউতকে পার্টির নীতিগত বিষয়ে কথা বলতে দেওয়া হয় না বা তাকে বিবৃতি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় না। কঙ্গনা রানাউতকে ভবিষ্যতে এমন কোনও বিবৃতি না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি।

নভেম্বর ২০২১

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালের নভেম্বরে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করার পরেই, কৃষক আন্দোলন শুরু হয়। কঙ্গনা এটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ ধরনের আন্দোলনে ভারত দুর্বল হচ্ছে এবং কৃষকরা নিজেদের স্বার্থে জাতির স্বার্থকে উপেক্ষা করেছে। উল্লেখ্য, কৃষক ইউনিয়নগুলির দীর্ঘ প্রতিবাদের পরে, কেন্দ্রীয় সরকারকে ২০২১ সালের নভেম্বরে এই আইনগুলি প্রত্যাহার করতে হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, কৃষকরা সিংগু, গাজিপুর এবং টিকরি সীমান্তে তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দাঁড়িয়েছিলেন। এই কারণে একটানা ১৪ মাস ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ২৬ জানুয়ারী, ২০২১-এ, কৃষকরা নয়াদিল্লিতে ট্রাক্টর নিয়ে প্যারেড করেছিল এবং লাল কেল্লায় প্রবেশ করে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল।

ফেব্রুয়ারি ২০২১

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি পপ তারকা রিহানা এবং গ্রেটা থানবার্গ কৃষকদের আন্দোলনের সমর্থনে টুইট করেছিলেন, তখন কঙ্গনা তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তারা ভারতের মানহানি করার ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি রিহানাকে ‘বোকা’ এবং কৃষকদের আন্দোলনকে ‘সন্ত্রাস’ বলেছেন। কঙ্গনা লিখেছেন- কেউ এ বিষয়ে কথা বলছে না কারণ তারা কৃষক নয়, তারা সন্ত্রাসী, যারা ভারতকে ভাগ করার চেষ্টা করছে যাতে চীন আমাদের দেশ দখল করতে পারে।

নভেম্বর ২০২১

কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কিছু লোককে ‘খালিস্তানি সন্ত্রাসী’ বলে অভিযুক্ত করেছেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, দেশকে ভাগ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং এর সঙ্গে খালিস্তানিরা জড়িত। খালিস্তানি সন্ত্রাসীরা আজ সরকারকে সমস্যায় ফেলছে… তবে আমাদের একজন মহিলাকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়… একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রীই তাকে জুতার নীচে পিষে ফেলেছিলেন। তারা এদেশের জন্য যতই কষ্ট করুক না কেন… সে তার জীবনের মূল্য দিয়ে মশার মতো পিষেছে… কিন্তু দেশকে টুকরো টুকরো হতে দেয়নি। এই বক্তব্যের পর শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। কঙ্গনার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ উঠেছে। এই বক্তব্য বিজেপির সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। 

সম্প্রতি কৃষকদের আন্দোলন সংক্রান্ত একটি বিষয়ে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার বিবৃতি দিয়ে বিজেপিকে ফাঁদে ফেলেছে কঙ্গনা। এরপর বিজেপি তার বক্তব্য থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। এই বিবৃতিটি এমন সময়ে এসেছে যখন হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন চলছে। যেহেতু হরিয়ানায় প্রচুর সংখ্যক কৃষক ভোটার রয়েছে এবং এই কৃষকদের যে কোনও দলের ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বোমা রাখা হয়েছে খবর শুনেই তড়িঘড়ি কানাডায় অবতরণ Air India বিমানের

দুর্ধর্ষ অ্যাকশন মুডে দক্ষিণী সুন্দরী সামান্থা, নয়া সিরিজে সঙ্গী বরুণ, মুক্তি কবে!

৯ বছর পর পাকিস্তানে পা রাখলেন বিদেশমন্ত্রী, যোগ দেবেন SCO সম্মেলনে

নাচতে নাচতে মৃত্যু, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে করুণ পরিণতি যুবকের

মহারাষ্ট্রে বিধানসভার ভোট ২০ নভেম্বর, ফল ২৩ তারিখ

‘এখন আর যৌবন নেই, বুড়ি হয়ে গেছি’, শুটিং সেটে পরে গুরুতর আহত জিনাত আমন

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর