নিজস্ব প্রতিনিধি, গুয়াহাটি: অসমের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি এখনও পর্যন্ত ১৪। গৃহহীন লক্ষাধিক পরিবার। রেললাইনে রাত কাটাচ্ছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে প্রশাসন। কাছার ও ডিমা হাসাওয়ে বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে দু’কোটি টাকা করে অর্থ সাহায্য ঘোষণা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ জেলার মানুষ যাতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন, তার জন্য চারদিনের আনলিমিটেড ডেটা পরিষেবা দিচ্ছে রিলায়েন্স জিও।
রেললাইনে পরিবার নিয়ে উঠ এসেছেন ৪৩ বছরের মনোওয়ারা বেগম। মনোওয়ারা বেগমের বাড়ি পাতিয়া পাহাড়ে। বন্যায় গ্রাম জলের তলায় চলে গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে মনোওয়ারা বেগম জানিয়েছেন, গত তিনদিন ধরে খোলা আকাশের নীচে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। ত্রিপল কেনার জন্য নিকটজনের কাছে কিছু টাকা ধার করেছিলেন। ত্রিপলের নীচে রয়েছে আরও পাঁচটি পরিবার। ফলে, পারিবারিক গোপনীয়তা বলে কিছুই নেই।
অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের প্রায় ২৯টি জেলায় বন্যার প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে নগাঁও, হোজাই, কাছার এবং দারাংয়ের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। নগাঁও জেলায় কমপক্ষে তিন লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষ বানভাসী। অন্যদিকে কাছারে এক লক্ষ ৬৬ হাজার, হোজাইয়ে এক লক্ষ ১১ হাজার এবং দারাংয়ে অন্তত ৫২, ৭০৯ জন মানুষ বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত। ঘরছাড়া অসমের লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাজ্যের অধিকাংশ নদীর জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, সে দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।