এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট! শিশুকন্যা হত্যায় ‘ফার্স্ট বয়’ মোদির গুজরাত

নিজস্ব প্রতিনিধি: আমাদের দেশে একদিকে যেমন দেবী দুর্গা, দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয় ভক্তিভরে, তেমনই কিন্তু অন্যদিকে রীতিমতো ঢাক ঢোল পিটিয়ে হয় কন্যাভ্রূণ হত্যা। শিশুকন্যার জন্ম আজও আমাদের দেশের বহু পরিবারের কাছে অভিশাপ। আর তাই প্রায় প্রতিদিনই সমাজের এক অদ্ভুত অভিশাপে পৃথিবীর আলো দেখার আগেই কেড়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার নিরপরাধ প্রাণ, কোনও কারণ ছাড়াই খালি হচ্ছে একাধিক কোল। যদিও দেশের আইন বলছে জন্মের আগে লিঙ্গ নির্বাচন এবং কন্যা ভ্রূণ হত্যা অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ, কিন্তু তাও প্রশাসনের প্রায় নাকের ডগাতেই রীতিমতো রমরমিয়ে চলছে এই সমস্ত অপরাধ। আর এক্ষেত্রে দেশের মধ্যে একেবারে প্রথম স্থানে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রাণকেন্দ্র গুজরাত।

সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। পুত্র এবং কন্যা সন্তানের অনুপাত নির্ধারণে সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালানো হয় দেশের বেশ কিছু রাজ্যে। তাতে দেখা গিয়েছে গুজরাত, পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্তানের মতো বেশ কিছু রাজ্যে পুত্র সন্তানের থেকে কন্যা সন্তানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছে। এর কারণ যে কন্যাভ্রুন এবং শিশুকন্যা হত্যা সেকথা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই তালিকাতেই একেবারে প্রথম স্থানে নাম রয়েছে গুজরাতের। ওই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে গুজরাতেই পুত্র এবং কন্যা সন্তানের সংখ্যার অনুপাতে ফারাক সবথেকে বেশী। হিসাব বলছে, বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে প্রতি হাজার জন কন্যা সন্তানের মধ্যে গড়ে ৫৫০টি শিশুকে মেরে ফেলা হয় জন্মের আগে কিংবা পরে। অথচ এই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারই ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে দেশজুড়ে চালাচ্ছে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প। 

তবে শুধু গুজরাত নয় তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্তান, হরিয়ানার মতো একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য। রিপোর্ট বলছে, হরিয়ানা এক হাজার ছেলে পিছু মেয়ের সংখ্যা মাত্র ৮৭১। রাজস্থানে এক হাজার ছেলে পিছু মেয়ের সংখ্যা ৯৪৮। পাঞ্জাবে প্রতি হাজারে সাড়ে তিনশো কন্যাসন্তান উধাও হয়ে যায়। হরিয়ানায় তা ২৮০, গুজরাটে সাড়ে চারশো। 

সম্প্রতি সামনে আসা এই সমীক্ষায় কার্যত উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁদের প্রশ্ন এই হারে পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা যদি কমতে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে অর্ধেকের বেশী ছেলে বিয়ের জন্য মেয়ে পাবে না। শুধু তাই নয়, অনুপাত ঠিক না থাকলে ভবিষ্যতে মেয়েদের ওপর অত্যাচার, অপরাধ দুইই উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। 

উল্লেখ্য, রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্ট অনুসারে পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বেশী শিশু কন্যা হত্যা হয় আমাদের দেশে। যদিও সেই রিপোর্ট ২০১২ সালের। কিন্তু সাম্প্রতিককালে যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তার ফলাফল আরও ভয়াবহ। দেখা যাচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে ৬৮ লক্ষ কন্যাসন্তানকে জন্মের পূর্বেই মুছে দেওয়া হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে কন্যাভ্রূণ হত্যায় দেশে প্রথম স্থান দখল করবে উত্তরপ্রদেশ। বিশেষজ্ঞদের এই অপরাধের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থা এবং আমাদের বস্তাপচা সংস্কার। একমাত্র ছেলেরাই বংশের প্রদীপ এবং মেয়েরা অন্যের সম্পদ, আমাদের দেশের মানুষের এই চিন্তার জন্যই আজ ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে কন্যা সন্তানের সংখ্যা।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিধানসভা ভোটে বিজেডির হয়ে লড়ছেন ওড়িয়া নায়িকা বর্ষা প্রিয়দর্শিনী

জেলবন্দি কেজরির মৃত্যুর আশঙ্কা করলেন আপ নেতা

ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী ঘাঁটি ‘বুড়া পাহাড়ে’ প্রথমবার ভোট দেবেন বাসিন্দারা

‘দেশে দুর্নীতির স্কুল চালাচ্ছেন মোদি’, টুইট তোপ রাহুলের

বিজেপির ‘৪০০ পার’ সিনেমা প্রথম দিনেই সুপার ফ্লপ, কটাক্ষ তেজস্বীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর