নিজস্ব প্রতিনিধি, চণ্ডীগড়: খোলা জায়গায় চলবে না নমাজ। নমাজপাঠ করতে হবে বাড়িতে বসেই। এমনই এক তালিবানি ফতোয়া জারি করে সংবাদের শিরোনামে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, এই সংক্রান্ত যে নির্দেশিকা আগে জারি করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হল।
২০১৮ সালে রাজ্য সরকার একটি নির্দেশিকা জারি করে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নমাজপাঠের জন্য ৩৭টি স্থানকে চিহ্নিত করেছিল। কয়েকটি হিন্দু মৌলবাদী সংগঠনের বিক্ষোভের জেরে নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকে রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয়, আটটি জায়গায় প্রকাশ্য নমাজ চলবে না। পাশাপাশি এও বলে, বাকি জায়গায় নমাজপাঠ নিয়ে আপত্তি উঠলে সে সব জায়গায় প্রকাশ্যে নমাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্যা সমাধানের রাস্তা খোঁজা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে। কোন ধর্মাবলম্বী মানুষ কোথায় প্রার্থনা করবেন, সেটা একান্তই তাদের নিজস্ব বিষয়। এই ব্যাপারে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রার্থনার জন্য বিশেষ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু প্রকাশ্যে নমাজপাঠ চলবে না। মুসলিম সমাজের প্রতি আমাদের অনুরোধ তারা বাড়িতে বসেই নমাজপাঠ করুক।’
উল্লেখ করা যেতে পারে, কিছুদিন আগে গুরুগ্রামে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নমাজপাঠের জায়গায় ঘিরে রাখে হিন্দু মৌলবাদীরা। দেওয়া হয় জয় শ্রীরাম ধ্বনি। যা নিয়ে কম বিতর্ক তৈরি হয়নি। এবার প্রকাশ্যে মুসলিমদের নমাজপাঠ নিষিদ্ধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।