এই মুহূর্তে




সত্যি সেলুকাস..মেয়েদের কলেজ ফি জোগাড়ে যৌন সঙ্গমের লাইভ স্ট্রিমিং অসহায় বাবা-মায়ের




নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: ভারতীয় বিবিধ শাস্ত্রে যৌনতাকে সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি ভাবা হয়েছে বরাবর। একটা সময় ছিল যখন যৌনতা নিয়ে জনমানসে লুকোচুরি ছিল না। কোনারকের সূর্যমন্দির, লিঙ্গরাজ মন্দির বা মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দিরগাত্রের প্রতিকৃতিচিত্রই তার প্রমাণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ আধুনিক হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লুকোছাপা। যৌনতা সংক্রান্ত কথা বললেই যেখানে অন্যায়, সেখানে যৌন ক্রিয়া জনসমক্ষে ঘটানো তো ভয়াবহ অপরাধ। এমনই অপরাধ করে ফেলেছেন এক দম্পতি।

শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল অ্যাপে যৌন কার্যকলাপ লাইভ স্ট্রিম করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক দম্পতিকে। জানা গিয়েছে আর্থিক অনটনের থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই এই কীর্তি করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সেক্স অ্যাক্ট’ দেখা গেলে প্রচুর ভিউ হবে, তার থেকে আসবে টাকা। অর্থ উপার্জনের এই সহজ উপায়কে তাই বেছে নিয়েছিলেন দম্পতি।

দম্পতির দুই মেয়ে। দুজনেই মেধাবী ছাত্রী। কিন্তু অভাবী মা বাবা তাঁদের কলেজ ফি পরিশোধ করতে পারছিলেন না। মেয়েদের মধ্যে একজন বি.টেক. দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী, অন্যজন সম্প্রতি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় ৪৭০ নম্বরের মধ্যে ৪৬৮ নম্বর পেয়ে কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

দম্পতির মধ্যে যিনি পুরুষ তিনি পেশায় একজন অটোচালক। অসুস্থ ছিলেন তিনি, ফলে চলছিল চিকিৎসা। কিন্তু ইদানিং আর চিকিৎসার খরচ বহন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতেই ভরসা করতে চেয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার আম্বারপেটের মল্লিকার্জুন নগর থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়ি থেকে হাই ডেফিনেশন ক্যামেরা সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই দম্পতি তাদের যৌন ক্রিয়াকলাপের লাইভ এবং রেকর্ড করা ভিডিও অ্যাপ ইউজারদের সঙ্গে শেয়ার করত। দর্শকদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন তরুণ প্রজন্ম – যারা এই ধরনের কন্টেন্টের জন্য অর্থ প্রদান করতেন। একটি লাইভ ভিডিওর দাম ছিল ২০০০ টাকা এবং একটি রেকর্ড করা ক্লিপ ৫০০ টাকায় বিক্রি হত।

পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের মাধ্যমে দম্পতি অটো চালিয়ে যা আয় করত তার থেকে অনেক বেশি অর্থ আয় করতেন। এই উদ্দেশ্যে এইচডি ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও করা হত। পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, সেক্সুয়াল অ্যাক্টের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে কেউ যাতে দম্পতিকে চিনতে না পারে তার জন্য মুখোশ পরে আত্মপরিচয় গোপন করেছিলেন দম্পতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ দম্পতির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।

ইদানিং সময়ে সবার হাতে স্মার্ট ফোন। তাই হাতের মুঠোয় ইন্টারনেট এসে যাওয়ায় নীলছবি দেখতে তো বাধা নেই। বর্তমান প্রজন্ম তাই বুঁদ হচ্ছে এতেই। তার পরিণতিতে অহরহ ঘটে যাচ্ছে ধর্ষণের মতো ঘটনা। আট থেকে আশি, রেহাই নেই কারও। সমাজ ক্রমশ অবক্ষয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে, বিতর্কিত পোস্ট করে বা আংশিক দেহ দর্শন করে উপার্জন করা খুব সহজ। মানুষও তাই সহজ পন্থা অবলম্বন করে রোজগার করে। কিন্তু সেই উপার্জনে যে কতখানি অসম্মান জড়িয়ে থাকতে পারে, তার প্রমাণ এই প্রতিবেদন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নেপাল-চিন সীমান্তে আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেল একের পর এক গাড়ি, নিখোঁজ অন্তত ১৮

দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে NRC নোটিশ, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

ভূত তাড়ানোর নামে মাকে পিটিয়ে মারল ছেলে

তামিলনাড়ুতে রেললাইন পার হওয়া স্কুলবাসে ট্রেনের ধাক্কা, ৩ শিশুর মৃত্যু

কালের ন্যায়চক্রে শ্রীরামের পূর্বপুরুষকে হত্যা করার ফলই পেতে হয়েছিল রাবণকে

ডাইনি অপবাদে পূর্ণিয়ায় একই পরিবারের ৫ জনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ