এই মুহূর্তে




‘শিক্ষিতরাই যদি…’ শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া পণের ৫,৫১,০০০ টাকা ফেরালেন পাত্র




নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: আহা! সবাই যদি এমন হতো! পণপ্রথার মতো কুসংস্কারের মুখে চপেটাঘাত করলেন এক যুবক থুড়ি পাত্র। ওই পাত্রটি পণ বাবদ শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া ৫,৫১,০০০ টাকা ফিরিয়ে দিলেন। আর ওই সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য সবার প্রশংসা কুড়োচ্ছেন বছর তিরিশের পরমবীর রাঠোর। পণের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে রাতারাতি ‘নায়ক’ বনে যাওয়া পরমবীরের একটাই কথা, ‘আমাদের মতো শিক্ষিতরাই যদি পণপ্রথাকে উ‍ৎসাহ দেয় তাহলে যারা অশিক্ষিত তারা তো কোনও দিন এই কুসংস্কার থেকে মুক্তি পাবে না।’

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জয়সলমীরের ছোট্ট গ্রাম কারালিয়ার বাসিন্দা নিকিতা ভাটির সঙ্গে প্রণয়সূত্রে বাঁধা পড়েছেন বছর তিরিশের পরমবীর রাঠোর। যিনি রাজস্থান সরকারের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘোড়ায় চড়েই শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছেছিলেন পরমবীর। জামাইকে আপ্যায়নে কোনও ত্রুটি রাখেননি নিকিতার বাবা-মা। কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে স্বাগত জানানোর সময়েই একটি থালাতে লাল কাপড়ে বেঁধে হবু জামাই পরমবীরের হাতে ৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলেন নিকিতার বাবা। আর ওই কাণ্ড দেখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই হাঁ করে তাকিয়েছিলেন। পণ হিসাবেই ওই বিপুল পরিমাণ টাকা পরমবীরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জনও ছড়ায়।

তবে চমকের তখনও কিছু বাকি ছিল। বিয়ের অনুষ্ঠান মিটে যেতেই শ্বশুরমশায়কে ডেকে পণ বাবদ পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দেন পরমবীর। আর জামাইয়ের এমন মহানুববতা দেখে আপ্লুত হয়ে যান নিকিতার বাবা-মাও।   পরমবীরের কথায়, ‘বিয়ের আসরে যখন আমার হাতে টাকার বান্ডিল তুলে দেওয়া হয় তখন খানিকটা হলেও আমি চমকে গিয়েছিলাম। পণপ্রথার মতো কুসংস্কার এখনও রয়ে গিয়েছে বলে খানিকটা দুঃখ পেয়েছিলাম। কিন্তু শ্বশুরমশায়ের ভাবাবেগে আঘাত দিতে চাইনি বলে তখন টাকাটা সাদরেই গ্রহণ করেছিলাম। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে টাকাটা ফিরিয়ে দিয়ে বলেছিলাম, ‘আমার মতো শিক্ষিতরাই যদি পণপ্রথার মতো কুসংস্কারকে ইন্ধন জোগায়, তাহলে যারা পড়াশোনা করেননি তারা কী করবেন? মনে হয়েছিল, কোথাও থেকে এই পণপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াইটা শুরু করি। সমাজে একটা বদল আনার চেষ্টা করি।’

পণপ্রথার বিরুদ্ধে ছেলের এই ভাবে বুক চিতিয়ে রুখে দাঁড়ানোকে সমর্থন জানিয়েছেন পরমবীরের বাবা পেশায় কৃষক ঈশ্বর সিংহও। তাঁর কথায় ‘আমরা বলি অর্ধেক আকাশের মালিক নাকি নারী। আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে মেয়েরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। দেশের নাম উজ্জ্বল করছে। তাদের লক্ষ্মী হিসাবে ঘরে আনতে কেন টাকা নেব? বেয়াই মশায় বলেছিলেন ওদের সমাজে নাকি জামাইকে এইভাবে বরণের রীতি রয়েছে। আমি বলেছি ‘রীতি যদি থাকে তাহলে একটি নারকেল আর এক টাকা দিন। সেটাই আমরা মাথায তুলে নেব।’

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার টোপে ছাত্রীদের ধর্ষণ, ৭২ ঘন্টা বাদে পুলিশি জালে হাথরসের অধ্যাপক

নিলামে রেকর্ড গড়ল মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা ছবি, বিক্রি হল কত টাকায়?   

সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধাকে ২ মাস ধরে ডিজিটাল অ্যারেস্ট, অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ২০ কোটি

বিশ্বের সবচেয়ে দামি কুকুর! ৫০ কোটি দিয়ে কিনেছেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা

ছত্তিশগড়ে জোড়া এনকাউন্টারে খতম ৩০ মাওবাদী, শহিদ এক ১ পুলিশ কর্মী

মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল ইলন মাস্কের ‘এক্স’, সঙ্ঘাতের কারণ কী?

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর