নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পঞ্জাবে দলের অন্দরের খেযোখেয়িতে যখন জর্জরিত কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব, ঠিক তখনই গান্ধি পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন কপিল সিব্বল। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরিই পঞ্জাবে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য নাম না করে সোনিয়া গান্ধি-রাহুল গান্ধি-প্রিয়াঙ্কা গান্ধিদের কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়াকে মানতে অস্বীকার করে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘দলের কোনও নির্বাচিত সভাপতি নেই। প্রশ্ন হল, কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?’ একই সঙ্গে অবিলম্বে দলের সাংগঠনিক কাঠামো বদলেরও দাবি তুলেছেন প্রবীণ এই আইনজীবী।
গত কয়েক মাস ধরেই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে নিশানা করে চলেছেন দলের অন্দরে থাকা ‘বিজেপি বান্ধব’ হিসেবে পরিচিত কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদরা। অবিলম্বে দলে সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলার দাবিতেও সরব হয়েছেন তাঁরা। কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ‘জি-২৩’ গোষ্ঠী হিসেবে আলাদা একটা শিবিরও গড়ে তুলেছেন বিদ্রোহী নেতারা।
পঞ্জাবে বিধানসভা ভোটের মুখে যেভাবে দলের খেয়োখেয়ি তুঙ্গে উঠেছে তাতে যথেষ্টই উল্লসিত ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর নেতারা। পঞ্জাবের রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য গান্ধি পরিবারকে নিশানা করতে ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছেন সিব্বল-আজাদরা।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে পঞ্জাবের রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে যেমন নিশানা করেছেন, তেমনই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, জিতিন প্রসাদদের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নাম না করে রাহুলকেও বিঁধেছেন। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘যাঁরা তাঁদের (গান্ধি পরিবারের) ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাঁরা দল থেকে চলে যাচ্ছেন, আর যাঁরা তাঁদের ঘনিষ্ঠ নয়, তাঁরা এখনও দলে রয়েছেন।’
কপিল সিব্বলের পাশাপাশি পঞ্জাবের ঘটনা নিয়ে সোনিয়া-রাহুলকে বিঁধতে আসরে নেমেছেন গুলাম নবি আজাদ-ও। এদিনই সোনিয়াকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে দলের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকার দাবি জানিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা।