এই মুহূর্তে




গোধরা কাণ্ডের ২৩ বছর পার, ৩ দোষীকে রিমান্ড হোমে পাঠাল আদালত




নিজস্ব প্রতিনিধি: গোধরা ট্রেন অগ্নিকাণ্ডের পর পেরিয়ে গিয়েছে দুই দশকেরও বেশি সময়। এত দিন পরে গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড মঙ্গলবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে রিমান্ড হোমে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ওই ঘটনার সময় এই তিনজন নাবালক ছিল।

গোধরায় জেজেবির অধ্যক্ষ কে এস মোদি তিনজনকেই তিন বছরের জন্য রিমান্ড হোমে পাঠিয়েছেন এবং প্রত্যেকের ১০,০০০ টাকা করে জরিমানাও ধার্য করেছেন।  মামলার অন্য দুই অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে বোর্ড। তারাও ওই ঘটনার সময় নাবালক ছিল। তাদের আইনজীবী সালমান চরখা জানিয়েছেন, জেজেবি দোষীদের সাজা ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে যাতে দোষীরা এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করতে পারে।

রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিন অভিযুক্ত সেই জনতার অংশ ছিল যারা ষড়যন্ত্রের পর অযোধ্যা থেকে আসা সাবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচে পাথর ছোড়ে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে খুন, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র, খুনের চেষ্টা, ইচ্ছাকৃত আঘাত ইত্যাদি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অন্য দুই অভিযুক্তকে প্রমাণের অভাবে খালাস দেওয়া হয়েছিল।

২০০২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি, গোধরা স্টেশনের কাছে সাবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচে আগুন ধরিয়ে দিলে অযোধ্যা থেকে ফিরে আসা ৫৯ জন কর সেবক নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ড গুজরাটে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটায়। দাঙ্গায় ১,০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।

মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম প্রকাশ করা ছয় কিশোরের বিরুদ্ধে পৃথক চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলাটি বোর্ডের বিচারাধীন থাকাকালীন ছয় অভিযুক্তের মধ্যে একজন মারা যায়। ২০১১ সালে, গোধরার একটি আদালত এই মামলায় ৩১ জন অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ৬৩ জনকে খালাস দেয়। ট্রায়াল কোর্ট ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে, গুজরাট হাইকোর্ট ট্রায়াল কোর্ট ৩১ জন অভিযুক্তের দোষী সাব্যস্ততা বহাল রাখে, কিন্তু ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত করে।

গুজরাট হাইকোর্টের ২০১৭ সালের অক্টোবরের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি আপিল দাখিল করা হয়। ১১ জন দোষীর মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করার যে আদেশ হাইকোর্ট দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে আপিল নিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। একই সাথে, অনেক দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিও তাদের সাজা বহাল রাখার জন্য দেওয়া হাইকোর্টের সিদ্ধান্তর বিরোধিতা করেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত? সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফের বৈঠক মোদির

অক্ষয় তৃতীয়াতেই ধাক্কা, মাদার ডেয়ারির পর দুধের দাম বাড়াল আমুল

স্কুলছাত্রের উপর অমানবিক অত্যাচার, পাকিস্তানি পতাকায় মূত্রত্যাগ করতে বাধ্য করল দুষ্কৃতীরা

১ মে থেকে দেশে পাঁচটি বড়সড় পরিবর্তন, চাপ পড়তে চলেছে পকেটে

পুলিশের ভ্যান থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু ১ আসামির, পথ অবরোধ নিহতের পরিবারের

রাহুলের দাবি মানল মোদি সরকার, দেশজুড়ে হবে জাতিগত সুমারি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর