নিজস্ব প্রতিনিধি: চিনা সেনার আগ্রাসনে আবারও উত্তপ্ত অরুণাচলের পরিবেশ। দিনকয়েক আগেই ভারতীয় সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচলেও ক্রমশ বাড়ছে চিনা সৈন্যঘাঁটির সংখ্যা। ফলত লাদাখের ন্যায় অরুণাচলের পরিস্থিতিও ক্রমশ জটিল হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন ভারতীয় সেনা কিন্তু যে কোনও মূল্যেই সদা প্রস্তুত। জানা গিয়েছে, লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশের নিয়ন্ত্রণরেখায় নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছে ভারতীয় সেনা। সৈন্য ঘাঁটি বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের পরিমাণ। সেই সঙ্গে আকাশপথে নজরদারি বাড়াতেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশেষ আমেরিকান হেলিকপ্টার।
সেনা সূত্রে খবর, অরুণাচলের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুর্গম সেনাঘাঁটিগুলিতে মোতায়েনের জন্য আনা হয়েছে এম-৭৭৭ হাউইৎজার। পাশাপাশি, আমেরিকায় তৈরি এসআইজি-৭১৬-আই স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, এম-৪ কার্বাইন, ব্যাটেট এম-৮২ ভারী রাইফেলের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। মনে করা হচ্ছে, ১৯৬২ সালে অরুণাচলের তাওয়াংয়ে যে এলাকাগুলি দিয়ে চিনা ফৌজ হামলা চালিয়েছিল এবারেও সেই এলাকাগুলিকেই আগে টার্গেট করা হতে পারে। মূলত সেই কারণেই ওই এলাকাগুলিতেই অত্যাধুনিক চপার মোতায়েন করে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে এই এলাকাগুলিতে ক্যামেরা লাগানো ড্রোনও ওড়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে স্যাটেলাইট ইমেজেও চোখ রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, দুর্গম এলাকাগুলিতে মোতায়েনের জন্য আনা হয়েছে এম-৭৭৭ হাউইৎজার। বিশ্বে এটাই প্রথম ১৫৫ মিলিমিটার কামান, যার ওজন ৪,২১৮ কিলোগ্রামের কম। ফলে ভারী পরিবহণ হেলিকপ্টারের সাহায্যে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা যায় সহজেই। ২৪ থেকে ৪০ কিলোমিটার পাল্লার মোট চার ধরনের গোলা ব্যবহার করা যায় এই কামানে। আর তাই অরুণাচলের মতো দুর্গম পাহাড়ি এলাকা এই কামান ব্যবহারের জন্য একদম উপযুক্ত স্থান।