নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওকাণ্ড নিয়ে দিল্লি-ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছে। ফের যুদ্ধের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। আর সেই যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উস্কে দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মহড়া শুরু করল ভারতীয় বায়ুসেনা। রাফাল, এসইউ ৩০ সহ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকে নামানো হয়েছে ওই মহড়ায়। আর ওই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আক্রমণ’।

এদিন সেন্ট্রাল সেক্টর বা মধ্য ভারতে থাকা ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিগুলো থেকেই মূলত যুদ্ধের মহড়া চালানো হয়। পূর্ব ভারতে থাকা ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটিগুলো থেকে একাধিক যুদ্ধবিমান ও সমরাস্ত্রও (এয়ার টু এয়ার মিসাইল এবং র‍্যাম্পেজ অ্যান্ড রকসের মতো দীর্ঘ পাল্লার উচ্চ গতির মিসাইল) মজুত করা হয়েছে সেন্ট্রাল সেক্টরের বায়ু ঘাঁটিগুলোতে। এদিন ‘আক্রমণ’ নামে যে মহড়া চলেছে তার নেতৃত্বে ছিল রাফাল। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে রাফাল যুদ্ধবিমানের দুটি স্কোয়াড্রন রয়েছে। তার মধ্যে একটি রয়েছে পঞ্জাবের আম্বালায় এবং অন্যটি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়। বায়ু সেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এদিনের মহড়ায় মূলত সমতল এবং পাহাড়ি অঞ্চল সহ বিভিন্ন ভূখণ্ডের জটিল জায়গায় হামলা চালানোর উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। মহড়াতে বায়ুসেনার সবচেয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত পাইলটদের ব্যবহার করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় ২৬ নিরীহ পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরাহিত্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এমনকি এদিন সকালেও প্রধানমন্ত্রী হুঙ্কার দিয়েছেন, ‘পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের নৃশংসভাবে যারা খুন করেছে সেই জঙ্গি ও তাদের মদতদাতাদের এমন শিক্ষা দেওয়া হবে যে কল্পনাতেও ভাবতে পারবে না।’ আগামিকাল শুক্রবারই কাশ্মীরে যাচ্ছেন সেনাপ্রধান। ইতিমধ্যেই সেনা-বায়ু ও নৌবাহিনীকে যে কোনও সময়ে যে কোনও দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।