নিজস্ব প্রতিনিধি: আরও বাড়ল রাজধানীর দূষণ। ভারতীয় দূষণ বোর্ডের রিপোর্ট বলছে, দূষণের মাত্রা ইতিমধ্যেই পাঁচশোর মধ্যে ৪৭০-তে পৌঁছে গিয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে দিল্লির বাতাস যে ঠিক কতটা দূষিত সেটা শব্দে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। দীপাবলির পরের দিনই বিপদসীমার গণ্ডি পার করেছিল দিল্লির দূষণ। একাধিকবার দিল্লি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সতর্কতায় কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি দিল্লির আশেপাশের একাধিক অঞ্চলে কৃষিজমির বজ্রপদার্থ পোড়ানোর কাজ শুরু হয়। আর তাতেই বিপদ আরও বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। ঘন কালো কুয়াশায় ধেকেছে দিল্লির আকাশ। এই বিষাক্ত ধোঁয়াশার জেরে এতটাই হ্রাস পেয়েছে দৃশ্যমানতা যে প্রায় কিছুই খালি চোখে দেখা যাচ্ছে না। অতঃপর ভারতীয় দূষণ বোর্ড যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুরসভাকে।
শুক্রবার বিকেলে দূষণ বোর্ডের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে কোনও সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার পরিবহন পরিষেবা অন্ততপক্ষে ৩০ শতাংশ অবিলম্বে কমানো উচিত। পাশাপাশি খুব প্রয়োজন না পড়লে দিল্লির কোনও বাসিন্দাকেই বাড়ির বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিন দূষণ বোর্ডের তরফ থেকে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়, যেখানে লেখা হয়েছে, আগামী ১৮ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাতাসে দূষণের মাত্রা এতটাই বিপদজনক অবস্থায় থাকবে এবং রাত্রিবেলা শান্ত অবস্থাতেও বাতাসে দূষণের পরিমাণ বিপদসীমার ওপরেই থাকবে।
পাশাপাশি বোর্ডের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সব থেকে বিপদজনক অবস্থায় থাকবে দিল্লির দূষণ। তাই এই দুদিন সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, যানবাহন চলাচল অন্তত ৩০ শতাংশ কমিয়ে ফেলার এবং সমস্ত কন্সট্রাকশনের কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় দূষণ বোর্ড এও জানিয়েছে যে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা যে কোনও রোগীর জন্যই ভয়ংকর বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই হাসপাতালগুলিকেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দূষণের জেরে ইতিমধ্যেই দিল্লির একাধিক বাসিন্দার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বহু মানুষ শ্বাসকষ্ট এবং চোখ জ্বালা করার সমস্যায় ভুগছেন।