নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের জানুয়ারিতে এয়ার ইন্ডিয়ার একজন ক্রু সদস্যকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল জেলবন্দী কুখ্যাত গ্যাংস্টার কপিল মানের বান্ধবী কাজল খত্রীকে, যিনি লেডি ডন হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত জানুয়ারিতে নয়ডার একটি জিম থেকে বেরিয়ে আসার পর ৩০ বছর বয়সী সুরজ মানকে ধাওয়া করে তাঁকে তাঁর গাড়ির ভিতরেই গুলি করে হত্যা করা হয়। খুনিরা বাইকে করে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। আর তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন লেডি ডন কাজল খত্রী। জানা গিয়েছে, গ্যাংস্টার কপিল মান-এর নির্দেশে তাঁর গার্লফ্রেন্ড গ্যাংস্টার পারভেশ মানের ভাই সুরজ মানকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই মূহুর্তে কপিল মান কারাগারবন্দী।

তিনি তাঁর বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে সুরজ মানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন, সেই কারণেই এখন কপিল মান এবং পারভেশ মান দুজনেই দিল্লিতে মান্ডোলি জেলবন্দি। জানা গিয়েছে, কাজল খত্রী শুটার পাঠিয়ে সূরজ মানকে হত্যা করেন। লেডি ডন কাজল খাত্রী, যিনি নয়ডা এবং দিল্লি পুলিশের কাছে ওয়ান্টেড ছিলেন, দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেপ্তার করেছে। এরপরে তিনি লেডি ডন কাজল খত্রী ২৫ হাজার টাকা পুরস্কারও পেয়েছিল। ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪ সালে, এয়ারলাইন্সে কাজ করা সুরজমানকে দুই বন্দুকধারী গুলি করে হত্যা করে এই হত্যা মামলার তদন্তে জানা যায় যে কাজল খত্রী নামে এক মহিলা ডন এই হত্যাকাণ্ডের জন্য উভয় শুটারকে ভাড়া করেছিল। সুরজ মান ছিলেন দিল্লির কুখ্যাত গ্যাংস্টার পারভেশ মান-এর ভাই। কুখ্যাত গ্যাংস্টার কপিল মান-এর সঙ্গে পারভেশের চলমান শত্রুতার জেরেই সুরজকে হত্যা করেন কাজল। যেহেতু জেলে ছিলেন কপিল মান, তাই তিনি সুরজমানকে হত্যার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তার বান্ধবী এবং লেডি ডন কাজলকে।

তবে কাজল নিজেকে জেলে থাকা গ্যাংস্টার কপিল মানের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। পুলিশের কথায়, কারাবন্দি কপিল মানকে খুন করার পরিকল্পনা করছিলেন পারভেশ মান। তাই পারভেশের ভাইকে খুন করে এর প্রতিশোধ নেন। পুলিশ জানায়, কাজল কপিলের পুরো গ্যাং চালায় দিল্লি পুলিশ কাজলকে গ্রেপ্তার করে নয়ডা পুলিশের কাছে সমর্পণ করেছেন। দিল্লি পুলিশের সিনিয়র অফিসার সঞ্জয় ভাটিয়া জানিয়েছেন, ক্রাইম ব্রাঞ্চের নর্দান রেঞ্জের দল লেডি ডনকে গ্রেফতার করেছে। “তার আসল নাম কাজল খাত্রী। তিনি একটি খুনের মামলায় ওয়ান্টেড ছিলেন। তিনি ১৯ জানুয়ারী, এয়ারলাইন ক্রু সদস্য সুরজকে নয়ডায় খুন করেছেন। কপিল মানের নির্দেশে তাকে হত্যা করে এবং এরপর কাজল খত্রী পালিয়ে যান। আমরা তাকে নয়ডা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।”