নিজস্ব প্রতিনিধি: হাড়হিম ঘটনা! ‘কালা যাদু’ চলছে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে। সম্প্রতি চমকপ্রদ দাবি করলেন বিলাসবহুল হাসপাতালের ট্রাস্টিরা। লীলাবতী হাসপাতালের ট্রাস্টি প্রশান্ত মেহতা জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের প্রাঙ্গণে কালা জাদুর একাধিক প্রমাণ পেয়েছেন। এমনকী হাসপাতালের অফিসের মেঝেতে আটটি কলসি পড়ে থাকতে দেখেছেন। খতিয়ে দেখতেই সেখান থেকে পাওয়া গিয়েছে, মানুষের হাড়-গোড়, মাথার খুলি, চুল এবং চাল। সাধারণত ‘কালা যাদু’-তেই কাজে আসে এমন উপকরণ। সাধারণত রোগীকে হত্যার জন্যে কালা যাদুর আচার করা হয়েছিল বলে অনুমান ট্রাস্টির। অভিযোগ, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে কর্মরত কয়েকজন প্রাক্তন কর্মচারী কালা যাদুর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তহবিলের অপব্যবহারের কারণেও শিরোনামে রয়েছে মুম্বইয়ের বিখ্যাত এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি।

লীলাবতী হাসপাতালের বর্তমান ট্রাস্টিরা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের তহবিলের প্রায় ১, ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে গিয়েছেন প্রাক্তন ট্রাস্টিরা। ফরেনসিকে তদন্তে তা প্রমানিত হয়েছে। তাঁরাই হাসপাতালের প্রাঙ্গণে কালা যাদু করত। সেই প্রমাণ রয়েছে অফিসের নিচে। আরও প্রমাণের জন্যে হাসপাতালের ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ অফিসের মেঝে ইতিমধ্যেই ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখান থেকে পাওয়া কালো যাদুর জন্যে ব্যবহৃত আরও কিছু প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে নেতিবাচকতার প্রভাব স্পষ্ট। ট্রাস্টি প্রশান্ত মেহতার অভিযোগ, হাসপাতালের তহবিল আত্মসাতের জন্যেই মৃত মানুষের হাড়-গোড় দিয়ে কালা যাদু করত প্রাক্তন ট্রাস্টিরা। ইতিমধ্যেই বর্তমান ট্রাস্টিরা প্রাক্তন ট্রাস্টিদের বিরুদ্ধে পুলিশ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবং তিনটি এফআইআর দায়ের করেছেন।

যার মধ্যেই আর্থিক আত্মসাতেরও মামলা রয়েছে।প্রশান্ত মেহতা আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা লীলাবতী কীর্তিলাল মেহতা মেডিকেল ট্রাস্টের অখণ্ডতা বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল কেবলমাত্র আমাদের উপর নির্ভরশীল রোগীদের সুবিধার্থে ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফরেনসিক অডিটের সময় যে গুরুতর অসদাচরণ এবং আর্থিক তছরুপের ঘটনা উন্মোচিত হয়েছে তা কেবল অভিযুক্ত এবং প্রতারক প্রাক্তন ট্রাস্টিদের উপর স্থাপিত আস্থার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা নয়, বরং আমাদের হাসপাতালের জন্যেও একটি হুমকি’। সাধারনত ভিভিআইপি-রা এই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। কালা যাদুর মতো নেতিবাচক ছায়া পড়েছে এই হাসপাতালে, তা ভাইরাল হলেই হাসপাতালের সুনাম নষ্ট হতে বাধ্য!