নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া দেশে শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে প্রথম দফার ভোট। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় প্রথম দফায় ভোটদানের হার অনেকটাই কম। সন্ধে সাতটা পর্যন্ত ১০২ আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ৬০.৩ শতাংশ। ২০১৯ সালে ভোটের হার ছিল ৭০ শতাংশ। যদিও ভোটগ্রহণের আনুষ্ঠানিক সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও বিভিন্ন বুথের সামনে ভোটারদের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গিয়েছে। ফলে ভোটদানের চূড়ান্ত হার সামান্য বাড়তে পারে।
শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে দেশের ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বেশ কয়েকটি বুথে ইভিএমে যান্ত্রিক ত্রুটি ধড়া পড়ায় ভোটগ্রহণে বিঘ্ন ঘটে। ইভিএম বদলানোর পরে নতুন করে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। মণিপুরে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি বুথ ভাঙচুর করে। এমনকি ইভিএম মেশিনও ভেঙে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলিও চালাতে হয় নিরাপত্তা রক্ষীদের। শেষ পর্যন্ত পাঁচটি বুথে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়। নাগাল্যান্ডের ছয়টি জেলায় কোনও ভোটই পড়েনি। একাধিক সংগঠন ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল। বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনারও খবর পাওয়া গিয়েছে। এদিন ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের উসুর থানার গলগামে হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন দেবেন্দ্র কুমার নামে এক সিআরপিএফ জওয়ান। মিজোরামের ছাম্পাই জেলার ভাংচ্ছিয়ায় ভোটের নিরাপত্তায় থাকা এক আধা সেনা জওয়ান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ধূপগুড়িতে দলীয় ক্যাম্পে থাকা এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর, মধ্যপ্রদেশের বালাঘাটে বিয়ের সাজেই ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন দুই নবদম্পতি। সকালের দিকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন লক্ষ্য করা গেলেও বেলা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গেই ভোটারদের উপস্থিতি কমতে শুরু করে। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই বুথমুখো হননি।