নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: শ্রীপেরেম্বুদুরে প্ল্যান ব্যর্থ হলে দিল্লিতে হবে দ্বিতীয় হামলা। রাজীব গান্ধির প্রয়াণ দিবসে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। চাঞ্চল্যকর তথ্য আরও আছে। প্রধানমন্ত্রীকে কী করে মালা পরাতে হবে তার জন্য তারা আগে অনুশীলনও করে।
ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, দিনটি ছিল ১২ মে, ১৯৯১। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের সেদিন চেন্নাইতে একটি সভা ছিল। সভার কথা সকলেই জেনে গিয়েছিল। জেনে যায় শিবরাসন। ১৯৯১ সালে সে চেন্নাই ফেরে। বিশ্বনাথের সভায় নলিনী, ধনু, শুভা আর নলিনীকে সঙ্গে নিয়ে যায় শিবরাসন । বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের গলায় মালা পরিয়ে দিতে এরা সেখানে গিয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল অন্য। মালা পরাতে কতক্ষণ লাগবে। এই সময়ের মধ্যে ঘটাতে হবে বিস্ফোরণ। ঠিক একই কায়দায় তারা রাজীবের গলাতেও মালা পরাবে। অপেক্ষা করছিল রাজীবের আসার।
ঠিক সাতদিন বাদে ১৯ মে সংবাদপত্রে রাজীব গান্ধির কর্মসূচির খবর প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়, ২১ মে ইন্দিরাপুত্র শ্রীপেরেম্বুদুরে সভা করতে আসবেন। ওই খবর দেখে তারা তাদের নীল নকশা তৈরি করে। ওই দিন খুব সকালে ধনু নিজের গলায় বিস্ফোরকে ঠাসা মালা গলায় পরে নেয়। পড়ে শিবরাসন ধনু আর শুভাকে নিয়ে অটো করে নলিনীর বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখান থেকে শ্রীপেরেম্বুদুর। সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে রাজীব গান্ধি সেখানে পৌঁছন। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। জনতার মাঝে মালা নিয়ে বসেছিলেন ধনু। পাশে ছিল বাকিরা। রাজীবকে যখন সম্বর্ধনা দেওয়া চলছে, সেই সময় শিবরাসন ধনুকে ইশারায় উঠে যেতে বলেন। ইন্দিরা-পুত্রের গলায় মালা পরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সভাস্থলে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
আরও পডুন বাবা, তোমায় মিস করি, রাজীবের তিরোধান দিবসে টুইট রাহুলের