নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শনিবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরের শেষ দিন। কিন্তু শেষ দিনেও জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের গুরুত্ব বোঝাতে কোথাও কোনও খামতি রাখলেন না মমতা। সফরের শেষ দিনে কংগ্রেসকে ঠুকে গোয়াবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ টিআরপি কমছে কংগ্রেসের। আর তাই ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে মোদি তথা বিজেপির। পাশাপাশি এদিন তিনি কংগ্রেসকে আরও একটু কোণঠাসা করতে মন্তব্য করেন, কংগ্রেস আসলে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে চায়।
পাশাপাশি এদিন তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে আগামী দিনে জোট বাঁধার প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন। ঘটনাক্রমে এখন গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছেন সোনিয়া পুত্র তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। কিন্তু তাঁদের সাক্ষাতের সম্ভাবনাকে নিজেই উড়িয়ে দিয়ে এদিন মমতা জানান, ‘ যে কংগ্রেস নিজেই সর্বশক্তি দিয়ে তৃণমূলের রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করেছেন তাদের সঙ্গে জোট কীভাবে সম্ভব?’
অন্যদিকে, এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কোনও ভোট ভাগাভাগির রাজনীতিতে তিনি যাবেন না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্য, ‘গোয়ার আঞ্চলিক দলগুলি যথেষ্ট শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। ভোট ভাগাভাগি হতে দেওয়া যাবে না।’
পাশাপাশি এদিনও তিনি গোয়াবাসীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘গোয়া থেকেই বিজেপি-র শেষের শুরু হবে। গোয়ার মানুষের বঞ্চনার শেষ হবে। গোয়ায় কোনও কিছুর অভাব নেই! শুধু রয়েছে সঠিক নেতৃত্বের অভাব। তৃণমূল গোয়ার ভূমিপুত্রকে দিয়েই সেই অভাব দূর করবে।’ অর্থাৎ এদিন নেত্রীর কথায় একটা কথা স্পষ্ট যে গোয়ার কোনও পরিচিত মুখকে সামনে রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে আগামী লড়াইয়ে নামছে তৃণমূল।
পাশাপাশি এদিন কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপিকেও নিশানা করতে ছাড়েননি মমতা। কৃষক আন্দোলন, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি সবকিছু নিয়েই পদ্মশিবিরকে একহাত নিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের জন্য বিজেপির কোনও চিন্তা নেই। কৃষকরা প্রায় এক বছর ধরে রাস্তায় বসে আছেন। কিন্তু কেন্দ্রের সরকারের তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথাই নেই! পেট্রল, ডিজেলের দাম কত হয়েছে? দাম কমাতে কী করেছে মোদী সরকার?’