আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জানেন কি, হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে কোন চেয়ারে আসন গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল?
পুরনো চেয়ার।
খবরটা শুনে গোলমেলে মনে হচ্ছে।
আমেরিকার দিব্যি খেয়ে বলছি, সত্যি, সত্যি, সত্যি। তিন সত্যি।
ব্যাপারটা খোলসা করেই বলা যাক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশের একজন শীর্ষ নেতাকে যেভাবে অভ্যর্থনা দিতে হয়, মোদিকে সেভাবেই অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই পর্যন্ত ব্য়াপারটা ঠিক ছিল।
গোল বাধল অন্য জায়গায়।
দুজনে বসে কথা বলবেন। তাই, চেয়ারও দুটো। বাইডেন বসলেন তাঁর জন্য বরাদ্দ আসনে। আর মোদি বসলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বাইডেনের ব্যবহৃত চেয়ারে। এবং এটা কোন রাখঢাক গুড়গুড় করা খবর নয়। বাইডেন নিজেই মোদিকে বলেন, ‘আমি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ওই চেয়ারটায় বসতাম। কিন্তু আমি এখন প্রেসিডেন্ট। আমি আর ওই চেয়ারে বসব না। ওই চেয়ারে আপনি বসুন।’
অগত্যা বাইডেনের ব্যবহৃত চেয়ারেই প্রধানমন্ত্রীকে বসতে হল।
তবে পুরনো চেয়ারে বসে কিন্তু আলোচনা ভালোই হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক স্তরে বহু বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। কথা হয়েছে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়েও। পাশাপাশি দিল্লি-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও মজবুত করার পক্ষে সহ মত পোষণ করেন।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার পরেই একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘তালিবান যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেগুলি যাতে তারা মেনে চলে সেই বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও প্রধানমন্ত্রী মোদি।