নিজস্ব প্রতিনিধি: বহু চেষ্টার পরে অবশেষে শনিবার দীর্ঘ ২৬ দিন পরে বেল পেয়ে বাড়িমুখো হয়েছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। প্রায় এক মাস ধরে চলা মাদক মামলার মূল অভিযুক্ত হিসাবে আরিয়ানকে গত ২ অক্টোবর গ্রেফতার করে এনসিবি। তারপর দীর্ঘ ৩ সপ্তাহেরও বেশী সময় ধরে একাধিক টালবাহানার পরে অবশেষে আজ শনিবার জামিনে ছাড়া পেলেন তিনি। কিন্তু ইতিমধ্যেই এনসিবি এবং তার অধিকর্তাদের নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। নানা বিতর্কে নাম জড়িয়েছে এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের। এবার সেই বিতর্ককেই আবারও উস্কে দিয়ে সামনে এল নতুন তথ্য। জানা যাচ্ছে, গত ১ বছরে পাঁচটি মামলা করেছে এনসিবি। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই একজনকেই প্রধান সাক্ষী হিসাবে সামনে আনা হয়েছে। তাঁর নাম আদিল ফজল উসমানি। তিনিই নাকি ওই ক্রজ পার্টিতে শাহরুখ পুত্রকে প্রথম সনাক্ত করেছিলেন।
সূত্রের খবর, আরিয়ান মামলা ছাড়াও আরও যে ৪ টি মাদক মামলার তদন্ত চালাচ্ছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো সেই প্রতিটা মামলার সঙ্গেই কোনও না কোনওভাবে যুক্ত রয়েছে এই আদিল ফজল উসমানির নাম। প্রতিটা মামলার ক্ষেত্রেই এনসিবির তরফে তাঁকেই প্রধান সাক্ষী হিসাবে পেশ করা হয়। যদিও এই বিতর্ককে সমূলে উপড়ে ফেলতে এনসিবির দাবি, যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও জায়গায় উপস্থিত থেকে যে কোনও ঘটনাকে নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করতে পারেন। এটা কাকতালীয় ছাড়া আর কিছুই নয়।
তবে শুধু আদিল ফজল উসমানি নয়, প্রশ্ন উঠছে এনসিবির আরও দুই সাক্ষী কিরণ গোসাভি এবং মণীষ বাহুবলীকে নিয়েও। জানা যাচ্ছে বছর তিনেক আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে একটি জোচ্চুরির মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল গোসাভিকে। দিনকয়েক আগেই গোসাভি একজনের থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলে সেকথা গোসাভির দেহরক্ষী প্রভাকর নিজে জানিয়েছেন। যদিও এই সমস্ত তথ্য প্রমাণকেই মিথ্যা এবং আরিয়ান মামলার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই, এমনটাই বারবার জানানো হয়েছে এনসিবির তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, আরিয়ান মামলায় ইতিমধ্যেই এনসিবির ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে নিয়েও একাধিক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক সমীরকে জালিয়াত প্রমাণ করতে মন্তব্য করেছেন, সমীর আসলে জন্মসূত্রে মুসলমান। কিন্তু চাকরি পাওয়ার জন্য তিনি জালিয়াতি করে একটি হিন্দু কাস্ট সার্টিফিকেট জোগাড় করেছেন। তার জোরেই তিনি চাকরি পান। ফলত সমীরকে নিয়েও ইতিমধ্যেই আলাদা করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।