নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার সকালেই পঞ্জাবের সিংঘু সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন মঞ্চের সামনেই খুন করে, হাত কেটে ব্যারিকেডে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির দেহ। পড়ে অবশ্য মৃত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়। পাশাপাশি কে বা কাড়া তাঁকে এমন নৃশংসভাবে খুন করেছে তাও জানতে পারে পঞ্জাব পুলিশ। জানা গিয়েছে মৃত ওই ব্যক্তির নাম লখবীর সিং। দলিত সম্প্রদায়ের বছর ৩৫-এর এই ব্যক্তি পেশায় ঠিকা শ্রমিক। শুক্রবার রাতেই লখবীরকে যে খুন করছে সেই সরবজিৎ সিং নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে আপাতত তাকে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় আদালত।
কিন্তু আদালতের সামনেও একইভাবে ওই ‘খুনি’ অর্থাৎ নিহং গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য সরবজিৎ সিং জনিয়েছেন, লখবীরকে খুন করে সে মোটেই অনুতপ্ত নয়। এমনকি তিনি যখন শুক্রবার রাতে আত্মসমর্পণ করেন তখন তাকে কয়েকজন সাংবাদিক এই একই প্রশ্ন করলে সরবজিৎ উত্তরে বলেন, ‘আমি অনুতপ্ত নই।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতেও এই একই কথাই জনিয়েছিলেন সরবজিৎ। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে এদিনও তিনি বলেন, ধর্মের অবমাননা করে পাপ করেছেন লখবীর। আর তাই তাঁকে এমন ভয়াবহ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মৃত লখবীরের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছে তা মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। লখবীরের দিদির জানতেন ই না যে তাঁর ভাই দিল্লি গিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে নিহতের বোন রাজ কৌর বলেন, কাজের সূত্রে যদিও বেশিরভাগ দিনই বাড়ির বাইরে থাকতেন তিনি তবে ৬ অক্টোবর ৫০ টাকা ধার নিয়েছিলেন লখবীর। বলেছিলেন, চব্বলে যাবেন। সেই সেসবার ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন রাজ। লখবীরের পরিবারের দাবি, তারপর থেকেই আর যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে। মূলত এই কারণেই তাঁর বোনের প্রশ্ন লখবীর কীভাবে এবং কার সাথে দিল্লি পৌঁছালেন তা যেন পুলিশ খুঁজে বের করে।
অন্যদিকে এই ঘটনার কোনও প্রভাব কৃষক আন্দোলনের ওপর পড়বে না এমনটাই জানালেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেটা হয়েছে সেটা চূড়ান্ত অন্যায়। কেউ একজন ওই ব্যক্তিকে খুন করে তাঁর দেহ আন্দোলন মঞ্চের সামনে ব্যারিকেডে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে গিয়েছিলেন। হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা আন্দোলনে প্রভাব ফেলবে না। পাশাপাশি এটাও পরিষ্কার করা হয়েছে যে, নিহঙ্গ গোষ্ঠীর সঙ্গে কিষাণ মোর্চার কোনও সম্পর্ক নেই।