নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে অহিন্দু, রোহিঙ্গা মুসলমান এবং হকারদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। গত সপ্তাহে চামোলিতে যৌন নিপীড়নের মামলার পরে এই ধরনের বিতর্কিত পোস্টার দেখা গিয়েছে। নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হলেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রুদ্রপ্রয়াগে। বিশেষ করে, মুসলিম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পোস্টার এবং গ্রামে তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার একাধিক পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছে।

পুলিশ কমিশনার আরও বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার যে কোনো প্রচেষ্টা সংশ্লিষ্ট আইনি বিধানের অধীনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রুদ্রপ্রয়াগ জেলায়, সোনপ্রয়াগ গ্রামে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, “অহিন্দু এবং রোহিঙ্গারা গ্রামে প্রবেশ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রুদ্রপ্রয়াগের সিরসি গ্রামের বাসিন্দা অশোক সেমওয়াল ব্যাখ্যা করেছেন যে অনেক গ্রামবাসী কাজের জন্য দূরে চলে যায়, মহিলাদের বাড়িতে একা রেখে যায়। আর তখনই বহিরাগতরা ওসব বাড়িতে প্রবেশ করে। যা কিনা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এই বিষয়টা রোধ করতেই পোস্টার লাগানো হয়েছিল।

তবে AIMIM-এর রাজ্য সভাপতি, ডঃ নায়ার কাজমি, উত্তরাখণ্ডের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের (ডিজিপি) সঙ্গে দেখা করেছেন, এবং বলেছেন যারা সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ সাম্প্রতিক বিরোধের পরে, মুসলমানদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করা হয়েছিল, তাই অনেকেই পালিয়ে যান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ডিজিপি। কংগ্রেস নেতা আরও অভিযোগ করেছেন যে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং সহ-সভাপতি জগদীপ ধনখর সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড সফর করেছিলেন সেই দিনগুলিতে বড় আকারের চুরির ঘটনা উল্লেখ করে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। তিনি নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধির কথাও উল্লেখ করেছেন।