নিজস্ব প্রতিনিধি, পটনা: মোদি ম্যাজিক ফিকে হচ্ছে বুঝতে পেরেই কার্যত রাজ্যে রাজ্যে জোট শরিক খোঁজার কাজে নেমেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। চেয়ার-টেবিল আর সাইনবোর্ড সর্বস্ব দলের নেতাদেরও এনডিএ’তে সামিল করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। আর তা করতে উল্টো বিপদ ডেকে আনছেন।আগামিকাল মঙ্গলবার দিল্লিতে এনডিএ শরিক দলগুলির নেতাদের ডাক পাওয়া চিরাগ পাসোয়ান ইতিমধ্যেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে শর্ত দিতে শুরু করেছেন। বিজেপি সভাপতি জেপি নাডডাকে জানিয়ে দিয়েছেন, ছয়টি লোকসভা আসন, একটি রাজ্যসঞভা আসন দিলেই তাঁর দল এনডিএ’তে সামিল হবে।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পরেই সুকৌশলে লোক জনশক্তি পার্টিতে ভাঙন ধরিয়েছিলেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। ২০২১ সালে আড়াআড়িভাবে বিভাজিত হয়েছিল এলজেপি। যদিও অধিকাংশ বিধায়ক আর সাংসদ দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ভাই পশুপতি পারসের সঙ্গে গিয়েছিলেন। একা হয়ে পড়েছেন চিরাগ পাসোয়ান। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডিগবাজির পরে রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে। দলিতদের ভোটের জন্য উপেন্দ্র কুশওয়াহা, জিতনরাম মাজিদের মতো ধান্ধাবাজ আর ডিগবাজিতে পিএইচডি করা নেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এনডিএতে টেনেছেন শাহ-নাড্ডা জুটি। চিরাগকেও এনডিএ’র বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
কিন্তু বৈঠকে যোগ দিলেও এনডিএ’তে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছেন রামবিলাস পুত্র। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটে কমপক্ষে ছয়টি আসন দিতে হবে। তার মধ্যে থাকলতে হবে হাজিপুর। তাছাড়া রাজ্যসভাতেও একটি আসন ছাড়তে হবে দলকে। বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষে এমন শর্ত মানা কঠিন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। ফলে এনডিএ’কে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া শুরুতেই ধাক্কা খাওয়ার মুখে।