নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠকে উঠে এল সন্ত্রাসে পাক মদত। হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিল, এবার আর মুখের কথা কাজ হবে না। খাতায়-কলমে করে দেখাতে হবে। ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কমলা হ্যারিসের বৈঠকে ভারত -মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আলোচনা হয়েছে আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়েও। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি মতো বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছিল কমলা-মোদি বৈঠকে। কিন্তু বৈঠেকর সব আলো শুষে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদে পাক মদত। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের মুখে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বৈঠক করে আপ্লুত । তিনি বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা । আমরা একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছি। নীতি এবং সংস্কৃতিগত মিলের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করার চেষ্টা করব আমরা।’
দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ-সহ দ্বিপাক্ষিকস্তরে সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজেই ওই বিষয়ে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা তুললেন।’’ শ্রিংলা জানিয়েছেন, কমলা হ্যারিস স্বীকার করে নিয়েছেন, পাক মাটিতে এখনও বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয়। পাকিস্তানকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাতে ভারত এবং আমেরিকার নিরাপত্তায় সন্ত্রাসবাদীরা কোনও প্রভাব না ফেলে। অন্য়দিকে প্রধানমন্ত্রী মোদি সীমান্তে সন্ত্রাস এবং ছায়াযুদ্ধ প্রসঙ্গে জানান ভারত কী ভাবে দশকের পর দশক ধরে এর মোকাবিলা করে চলেছে। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তান কীভাবে সাহায্য করে কমলা হ্য়ারিসকে তাও জানিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।