নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি: ভারত-পাক উত্তেজনা ক্রমবর্ধমান। তারমধ্যেই শনিবার দিল্লি লক্ষ্য করে ফতেহ-২ নামক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল পাকিস্তান। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী হরিয়ানার সিরসার কাছে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করে। ফতেহ-২ হল একটি সারফেস থেকে সারফেসে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র যার পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

শনিবার ভোরে ভারত রাওয়ালপিন্ডির নূর খান, পাকিস্তানি পঞ্জাবের চকওয়ালের মুরিদ এবং শোরকোটের রফিকি সহ চারটি পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটিতে হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

একাধিক সূত্র মারফত খবর, শনিবার পাকিস্তান ভারতের ২৬টি স্থানে হামলা চালানোর পর ভারত এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বেশ কয়েকটি স্থানে এখনও থেমে থেমে গোলাগুলি বর্ষণ চলছে। তবে এই মুহূর্তে সমস্ত ভারতীয় সেনা এবং বিমান ঘাঁটি নিরাপদ।

Pakistan’s long range surface to surface missile Fatah-II successfully intercepted by India’s Barak-8 missile defence system at Sirsa. pic.twitter.com/zyks2y0afo

— Salt News (@SaltNews_IN) May 10, 2025

“আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ২৬টি স্থানে ড্রোন দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে সশস্ত্র ড্রোনও রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এই স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে বারামুল্লা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, জম্মু, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, লালগড় জট্টা, জয়সালমের, বারমের, ভূজ, কুয়ারবেট এবং লক্ষ্মী নালা। দুঃখের বিষয়, একটি সশস্ত্র ড্রোন ফিরোজপুরের একটি বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তার ফলে স্থানীয় একটি পরিবারের তিন জন সদস্য আহত হয়েছেন।”-  ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে এই তথ্য দিয়েছে।

২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়ায় বুধবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) -এ সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাডউলি লক্ষ্য করে অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করলে ভার-পাক দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।