নিজস্ব প্রতিনিধি, জম্মু: দীপোৎসবেও মোদির মুখে শোনা গেল সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা।
বৃহস্পতিবার নৌসেরা সেক্টরে জওয়ানদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ওই সাঁড়াশি অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর পরেও ভারতের বুকে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ হয়নি। শান্ত কাশ্মীরকে আরও একবার উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে। ভারত যে হাতে গুটিয়ে বসে থাকবে না সেটা কাটা কাটা কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন নমো। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে বার্তা দিতেই দীপাবলিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক-য়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কারণ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মুখে শোনা গিয়েছিল এই সাঁড়াশি অভিযানের কথা। ভূস্বর্গ সফরকালে পাক-মদতে সন্ত্রাস সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি যা বলেছিলেন তার মূল কথা, ইসলামাবাদের দাপাদাপি বন্ধ করতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের রাস্তায় হাঁটতে দ্বিধা করবে না দিল্লি।
জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করতে বৃহস্পতিবার সকালে নৌসেরা পৌঁছন নমো। বিগত কিছুদিন ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর পরিস্থিতি। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এই কাশ্মীর সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নৌসেরা এসে তিনি যে রোমাঞ্চ অনুভব করছে, সেটা জানাতে কসুর করেননি মোদি। সেনাবাহিনীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আজ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখানে আসিনি, এসেছি আপনাদের একজন পরিবারের সদস্য হিসেবে। নিয়ে এসেছি ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আশীর্বাদ। আপনাদের জন্য আজ গোটা দেশ প্রদীপ জ্বালাবে।’
জওয়ানদের আত্মবলিদানের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নমো বলেন, ‘আপনারাই ভারত মায়ের রক্ষাকবচ। আপনাদের সজাগ দৃষ্টি, বিনিদ্ররজনী যাপনের কারণে দেশবাসী নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন। উৎসবের মেতে উঠতে পারেন। দেশবাসী আপনাদের কুর্নিশ জানায়।’
এদিনের ভাষণে বাহিনীর আত্মবলিদানের প্রসঙ্গ উত্থাপনের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।