নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা: প্রথমে অনুমতি দিয়েও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে ভোলবদল ত্রিপুরা পুলিশের। আগামী রবিবার আগরতলার রবীন্দ্রভবনের সামনে রাজনৈতিক সভা করার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য শনিবার চলছিল শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এমন সময় পুলিশ আসে মঞ্চ ভাঙতে। বলা হয়, রবীন্দ্রভবনের সামনে সভা করতে দেওয়া যাবে না।
ত্রিপুরায় প্রথম থেকেই তৃণমূলকে আটকাতে কোমড় বেঁধে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকার। বিজেপি কর্মীদের দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর হামলা থেকে শুরু করে পুলিশ-প্রশাসনকে পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে। যার নবতম সংযোজন ঘটল এদিন। অভিষেকের সভার কয়েকঘণ্টা আগে সভাস্থল পরিবর্তন করার নির্দেশ দিল পুলিশ। সাফ জানানো হয়েছে, রবীন্দ্রভবনের সামনে নয়, বরং রাজবাড়ি সংলগ্ন আস্তবল ময়দানে সরাতে হবে সভা। সেক্ষেত্রে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, আগরতলার ব্যস্ততম এলাকা রবীন্দ্রভবন চত্ত্বর। যদি সেখানে সভা হয়, তাহলে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
যদিও পুলিশের এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। এই মুহূর্তে আগরতলায় রয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘এই পুলিশই আমাদের সভা করার অনুমতি দিয়েছিল। এখন এসে বলছে মঞ্চ ভেঙে দেব। এটা ইয়ার্কি হচ্ছে না কি! এখন পুলিশ বলছে, ”তোমাদের সভায় প্রচুর লোক হবে, তাই দিনের ব্যস্ততম সময়ে রবীন্দ্রভবনে সভা করা যাবে না।” এদিকে আমাদের সমস্ত প্রস্তুতি সাড়া হয়ে গিয়েছে। এখন কয়েকঘণ্টার মধ্যএ আস্তাবলে মঞ্চ তৈরি করা সম্ভব?’ তাঁর দাবি, আসলে ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন করছে, তাই অভিষেকের সভা বানচাল করতে চাইছে বিজেপি সরকার।’ তবে শুধু সভার অনুমতিই নিয়েই সমস্যা নয়, এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের কিছু সময় আগেই করোনা সংক্রান্ত নয়া গাইডলাইন জারি করেছে ত্রিপুরা সরকার। বলা হয়েছে, ভিনরাজ্য থেকে সেরাজ্যে ঢুকতে গেলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক।