নিজস্ব প্রতিনিধি: পাখির চোখ গোয়ার আগামী বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই একবারে আদা জল খেয়ে প্রচারে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলি। একদিকে যখন এই গোয়ার নির্বাচনের হাত ধরেই জাতীয় রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস তখন নিজের ভাগের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয় জাতীয় কংগ্রেস দল। আর ঠিক সেই কারণেই গোয়াতে যখন প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের মূল কাণ্ডারি তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক তখনই গোয়া পৌঁছে প্রচারের কাজ শুরু করলেন সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধি।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে গোয়ার একটি ছোট গ্রাম ভেলসাওতে গিয়েছেন তিনি। সমুদ্র উপকূলের এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই পেশায় মৎসজীবী। আর তাই মৎসজীবীদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে কথা বলেই আগামী নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারের কাজ শুরু করলেন রাহুল। এই প্রসঙ্গে তাঁর উক্তি, ‘এখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতেই আমার গোয়াতে আসা। আমি জানতে চাই তাঁদের মনে কি রয়েছে।’
পাশাপাশি গোয়ার পরিবেশ নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধিকে। এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘গোয়ার পরিবেশকে কখনই দূষিত হতে দেওয়া যাবে না। গোয়া যেন কয়লা কেন্দ্রের মতো দূষিত ন হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। উন্নয়ন অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু সর্বদা খেয়াল রাখা উচিত উন্নয়ন এবং পরিবেশের মধ্যে যেন সামঞ্জস্য বজায় থাকে।’
পাশাপাশি এদিনও তাঁকে গোয়ার সাধারণ মানুষকে এক গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেখা গিয়েছে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো কংগ্রেস বিরোধীদের এর আগে অনেকবারই বলতে শোনা গিয়েছিল যে কংগ্রেস নেতারা যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দেন আসলে তার কোনও অস্তিত্বই থাকে না। সেই কটাক্ষের জবাব দিতেই এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ছত্তিশগড়ের কৃষি ঋণের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, ‘কংগ্রেস যা বলে কাজেও তাই করে।’
উল্লেখ্য, ২০২২-এর প্রথম দিকেই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনের প্রচারের কাজেই রাহুল গান্ধির এই গোয়া সফর। গোয়ার মাটিতে দাঁড়িয়েই একদিকে যখন কংগ্রেসকে কার্যত তুলোধোনা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তখন সেই গোয়ার সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতা করে জনসংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের প্রচারের কাজ শুরু করলেন সোনিয়া পুত্র।