নিজস্ব প্রতিনিধি, গুরুগ্রাম: নমাজ ঘিরে অশান্তিতে তপ্ত গুরুগ্রাম।
যোগী-ভক্তরা একটি খোলা জায়গা দখল করে নিয়েছে। বলছে, সেখানে একটি ভলিবল কোর্ট তৈরি হবে। যদিও সূত্রে পাওয়া খবরে একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন চ্যানেল জানিয়েছে, ভলিবল কোর্ট তৈরি করা আসলে ছুতো। জায়গা দখলের মূল কারণ নমাজ বন্ধ করা।
ওই বৈদ্যুতিন চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে হিন্দু মৌলবাদীদের নিশানায় ছিল ওই জায়গা। ২০১৮ সালে ঠিক একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। পরে যা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এলাকার উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ সমঝোতায় পৌঁছয়। জায়গাটি সংখ্যালঘু মুসলিমদের নমাজ পাঠের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তিন বছরের মাথায় আবার সেই পুরনো ঝামেলা ফিরে এসেছে।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নয়ডার ১২-এ সেক্টরের ২৯ নম্বর প্লট। গত সপ্তাহে গুরুগ্রাম কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে জানায়, যে সব এলাকায় নমাজ পাঠে অনুমতি অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, এলাকাবাসী আপত্তি তোলায় ওই সব এলাকা থেকে অনুমতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।
একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন চ্যানেলের খবর অনুযায়ী, মুসলিমরা যাতে ওই খোলা জায়গায় নমাজে অংশ নিতে না পারে, তার জন্য সকাল থেকে হিন্দু মৌলবাদীরা এলাকা দখল করে খোশমেজাজে আড্ডার আসর বসিয়েছে। তাদের কারও হাতে খবরের কাগজ, কেউ বা রসিয়ে রসিয়ে চায়ের সঙ্গে বাদাম ভাজা খাচ্ছেন। প্রশ্ন উঠছে, সেই তিন বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। আর এই প্রশ্ন তোলার সব থেকে বড়ো কারণ উত্তরপ্রদেশে বছর ঘুরলেই নির্বাচন।