নিজস্ব প্রতিনিধি, চণ্ডিগড়: সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রিতে এ বিষয়ে আর্জি জমা পড়েছে। সেই আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কেন্দ্রকে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার। তার পরেই মামলার শুনানি কোন বেঞ্চে হবে, তা স্থির হবে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার জন্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু। পঞ্জাবই হল প্রথম রাজ্য যে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নাড়ল।
গত সেপ্টেম্বর মাসে আচমকাই জাতীয় নিরাপত্তার অছিলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে অমিত শাহের অধিনস্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ এলাকায় বিএসএফ নজরদারি ও তল্লাশি চালাতে পারবে। এক ধাক্কায় বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার প্রতিবাদে সরব হন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের অভিযোগ, ‘পিছনের দরজা দিয়ে কার্যত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপরে আঘাত।’ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর এক্তিয়ার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও চিঠি পাঠিয়েছিলেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই চিঠির কোনও জবাব দেওয়ার সৌজন্য দেখেননি প্রধানমন্ত্রী।
শেষ পর্যন্ত বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিরোধিতা করে দুই রাজ্যের বিধানসভাতেই বিশেষ প্রস্তাব পাশ হয়। এবার বিষয়টি নিয়ে লড়াইকে আদালতে টেনে নিয়ে গেলেন পঞ্জাবের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী।