নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে যে ঠিকানা ছিল, শনিবার তা হারিয়ে ফেললেন রাহুল গান্ধি। লোকসভার হাউজিং কমিটির নির্দেশ মেনে শনিবার দুপুরেই ১২ তুঘলক লেনের বাংলো খালি করে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের এস্টেট বিভাগের আধিকারিকদের হাতে চাবি তুলে দেন তিনি। আর চাবি তুলে দেওয়ার পরে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। সাংবাদিকদের বলেন, ‘সত্য বলার মূল্য চোকাচ্ছি। যদিও তাতে আমার কোনও দুঃখ নেই। কেননা, কাউকে না কাউকে তো প্রতিবাদ করতেই হবে।’
২০০৫ সালে মা সোনিয়া গান্ধির সরকারি বাসভবন ছেড়ে সাংসদ হিসেবে পাওয়া ১২ তুঘলক লেনের বাংলোতে উঠে এসেছিলেন রাহুল। এদিন বাংলো ছাড়া হওয়ার পরে ফের মায়ের কাছেই ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজীব তনয়। জানিয়েছেন, ‘আপাতত কয়েকদিন ১০ জনপথেই থাকব। তার পরে কোনও একটি ভাড়া বাড়ি দেখে উঠে যাব।’ তবে সাংসদ-পদ খারিজ হলেও তিনি যে মোদি সরকারের নীতির বিরুদ্ধে আরও জোরে কণ্ঠ ছাড়বেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘আমি সব ইস্যু ওঠাব। কণ্ঠস্বর আরও জোরালো করব। কেননা, কাউকে না কাউকে তো প্রতিবাদী হতেই হবে।’
এদিন সকাল থেকেই রাহুলের বাংলো খালি করার কাজের তদারকি করেছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দাদা (রাহুল) যা বলছেন, তা একশো শতাংশ সত্যি। সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে বলেই হেনস্তা করা হচ্ছে। কিন্তু এত কিছু করেও দমানো যাবে না।’