নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিগড়: পহেলগাঁও বৈসরণে সন্ত্রাসী হামলায় গোটা দেশ স্তম্ভিত। যেখানে নির্বিচারে হিন্দুদের উপর গুলি চালানো হয়েছে। ২৬ জন পর্যটককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। হামলার পর এর দায়ভার স্বীকার করে নিয়েছেন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী সংগঠন লস্করের সদস্যরা। এই ঘটনায় গোটা দেশ পাকিস্তানের ধ্বংসলীলার স্বপ্ন দেখছে। যদিও পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাতের সমস্তরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। পাশাপাশি পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারত থেকে বের করেছে সরকার। এ আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। যার মধ্যে একটি ভিডিও গোটা সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে
ফেলে দিয়েছে। ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একদল জনতা এক স্কুলছাত্রকে ঘিরে ধরেছেন। এবং তাঁকে জোরপূর্বক রাস্তায় পড়ে থাকা পাকিস্তানি পতাকার উপর প্রস্রাব করতে বাধ্য করছেন।

ভিডিওটি পুলিশ প্রশাসনেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। যেহেতু পাকিস্তানকে নিয়ে এখন ভারত উত্তপ্ত, সেই কারণে পাকিস্তানের পতাকায় একজন নাবালককে দিয়ে জোর করে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে এলাকার লোকজন। এই ঘটনার নিন্দা করে সমাজবাদী পার্টির আলিগড় জেলা ইউনিট জানিয়েছে, “এটি গত সপ্তাহের পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে সাম্প্রদায়িক বিভেদ উস্কে দেওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র! এটি একটি বিরক্তিকর ভিডিও। তবে এটা নতুন নয়। আমরা শহরের অন্যান্য অংশ থেকেও একই রকম হয়রানির ঘটনার রিপোর্ট পেয়েছি। শান্তি বিঘ্নিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিরোধে প্রশাসনকে অবশ্যই দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।”

এই ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, গত সোমবার বিকেলে ১৫ বছর বয়সী ওই ছাত্রটি বন্ধুদের সঙ্গে সরকারি ইন্টার কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। ঠিক সেই সময়েই সে পাকিস্তানের একটি পতাকাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। কিছুক্ষণ পরে, একদল জনতা ছেলেটিকে ধরে নিয়ে যায়, তার নাম জানতে চায় এবং তাঁকে গালিগালাজ শুরু করে। এরপর তাঁকে পাকিস্তানের পতাকার উপর প্রস্রাব করতে বাধ্য করে। এরপর সোমবার রাতেই এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারায় তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন অজ্ঞাত। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন যে বিষয়টি তদন্তাধীন এবং দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।