নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পঞ্জাবে রাজনৈতিক সংকট কাটতে চলেছে। পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ফিরতে পারেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সিধুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী চান্নি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। সূত্রের খবর, শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দুপুর তিনটে নাগাদ কথা বলবেন সিধু। তিনি নিজেই টুইট করে এই বৈঠকের খবর দিয়েছেন। নিজের টুইটার হ্য়ান্ডেলে সিধু লেখেন, মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। দুপুর তিনটে নাগাদ আমায় ডেকে পাঠিয়েছেন। বৈঠক হবে পঞ্জাব ভবনে।
বৈঠকের খবর স্বীকার করে নিয়েছে সিধুর ব্যক্তিগতউপদেষ্টা মহম্মদ মুস্তাফা। তিনি বলেন , ‘‘শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতির কাজ চালিয়ে যাবেন সিধু।’’
সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সিধুর ইস্তফায় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব রীতিমতো অস্বস্তিতে। তাঁদের নির্দেশে সিধুর সঙ্গে কথা চালিয়ে যান কংগ্রেস নেতারা। এখন দেখার সিধু কবে ফের কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেন।
ঘটনাচক্রে এদিন একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা নটবর সিং পঞ্জাবের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন। সাফ জানিয়ে দেন, দলের এই করুণ অবস্থা দেখতে হবে তিনি ভাবতে পারছে না। একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইন্দিরা জমানার এই প্রাক্তন মন্ত্রীর নিশানায় দলের এই শোচনীয় অবস্থার জন্য গান্ধি পরিবারকেই দায়ী করেছেন। সাক্ষাৎকারে নটবর সিংকে প্রশ্ন করা হয়, দলের এই করুণ পরিণতির জন্য তিনি কী সনিয়া রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কাকে দায়ী করছেন। কাটাকাটা কথায় প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা যে জবাব দিয়েছেন তার সারকথা হল, কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেবেন গান্ধি পরিবারের তিন সদস্য – সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধি।