নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: তিন বছর বাদে, বৃহস্পতিবার সকালে জেল থেকে ছাড়া পেলেন আইনজীবী তথা বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী সুধা ভরদ্বাজ। ছিলেন মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে। ২০১৮-র ২৮ অগাস্ট সুধা ভরদ্বাজকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে প্রথমে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। পরে ২৭ অক্টোবরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইকুল্লা জেলে। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় সুধা ভরদ্বাজ প্রথম, যিনি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ডিফল্ট বেল-য়ে জেল থেকে ছাড়া পেলেন।
প্রথমে ভীমা কোরেগাঁও মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিল পুনে পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্ত সংস্থার হাতে। শর্তসাপেক্ষে সুধা ভরদ্বাজকে ডিফল্ট বেল দেওয়া হয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে, তাঁকে তাঁর পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। থাকতে হবে মুম্বইতে। কোথাও যেতে হলে নিতে হবে আদালতের অনুমতি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সুধা ভরদ্বাজ কথা বলতে পারবেন না বলেও শর্ত দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা। পাশাপাশি প্রতি ১৪দিন অন্তর তাঁকে স্বশরীরে নিকটবর্তী থানায় হাজিরা দিতে হবে। সেটা একান্তই সম্ভব না হলে করতে হবে ভিডিয়ো কল।
একই মামলায় অভিযুক্ত সুধীর দাওয়ালে, ভারভারা রাও, রোনা উইলসন, সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, সোমা সেন, মহেশ রাওয়াত, ভারনোন গঞ্জালভিস এবং অরুণ ফেরেরা জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করলেও তাদের আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়ে জানায়, যথাসময়ে আবেদন করা হয়নি। তাই, জামিন মঞ্জুর সম্ভব হচ্ছে না।
উল্লেখ করা যেতে পারে, এই মামলায় অপর অভিযুক্ত স্ট্যান স্বামীও জামিনের জন্য আদালতে একাধিকবার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জাতীয় তদন্ত সংস্থা সেই আবেদনের লাগাতার বিরোধিতা করে এসেছে। স্ট্যান স্বামীর শারীরিক অসুস্থতাকেও তারা গুরুত্ব দিতে চায়নি। জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে তাঁকে মরতে হয়েছে। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। মনে করা হচ্ছে, সেই বিতর্ক এড়াতে এবার জাতীয় তদন্ত সংস্থা সুধা ভরদ্বাজের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেনি।