এই মুহূর্তে




গুদামভর্তি পোড়া টাকা, অবশেষে বিচারপতি বর্মার বাড়ির ছবি প্রকাশ্যে আনল সুপ্রিমকোর্ট




নিজস্ব প্রতিনিধি: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়। শুক্রবার (২১ মার্চ) থেকেই এই খবরে উত্তাল গোটা দেশ। জানা যায়, ১৪ মার্চ হোলির রাতে বিচারপতির বাড়িতে ভয়াবহ আগুন লেগে যাওয়ায় দমকলের টিম পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। আর আগুন নেভাতে গিয়েই বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রাশি রাশি টাকার পাহাড়। ঘটনার সময় বিচারপতি ছিলেন না তাঁর বাড়িতে। অভিযোগ দায়ের হতেই বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই বিরোধিতা করছেন। এবং এই অপরাধের শাস্তি যশবন্ত বর্মার পদত্যাগ বলে দাবি করেছেন অনেকেই। কিন্তু টাকা রাখার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন যশবন্ত বর্মা। এদিকে শনিবার রাতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার পুড়ে যাওয়া টাকার পাহাড়ের তিনটি ছবি এবং একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

 

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিতর্ক চলাকালীন বিচার সম্পর্কিত কোনও কাজ যেন যশবন্ত বর্মাকে না দেওয়া হয়! সুপ্রিমকোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত ভিডিওগুলিতে দেখা যাচ্ছে, যশবন্ত বর্মার সরকারি বাংলোর স্টোররুমে টাকার পাহাড় সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করছেন দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা। অবশেষে প্রমাণ হল সত্যই যশবন্ত বর্মার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকার খনি। অবশ্য উদ্ধারকৃত নগদের সঙ্গে তাঁর কোনও সংযোগ নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন বিচারপতি বর্মা। উল্টে দাবি করেছেন, তাঁকে অপমান করার জন্য এটি একটি ইচ্ছাকৃত ষড়যন্ত্র।

তাঁর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, তাঁর সরকার-বরাদ্দকৃত বাসভবনের স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে অবস্থিত একটি স্টোররুমে আগুন লেগেছে। সেই স্থানটি ছিল পুরানো আসবাবপত্র, ক্রোকারিজ এবং বাগানের সরঞ্জাম-সহ গৃহস্থালির জিনিসপত্র রাখার একটি সাধারণ স্টোরেজ এলাকা। সরাসরি তাঁর বাসভবনের সঙ্গে কোনও সংযুক্তকরণ নেই। তিনি বা তার পরিবার কখনও স্টোররুমে নগদ অর্থ সঞ্চয় করেননি। বরং তাঁরা সমস্ত আর্থিক লেনদেন UPI এবং কার্ড পেমেন্টের মাধ্যমে করেন। পাশাপাশি তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন যে, ”পুড়ে যাওয়া টাকা ভর্তি বস্তার প্রমাণ কোথায়? যদি এত পরিমাণ নগদ অর্থ সত্যিই উদ্ধার করা হয়ে থাকে, তাহলে কেন সেই সময় আমাদের কাছে তা উপস্থাপন করা হয়নি?” বিচারপতি বর্মার এই অভিযোগ তোলার পরেই পুড়ে যাওয়া টাকার পাহাড়ের ছবি ও ভিডিও-সহ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও এখনও উদ্ধারকৃত টাকার সঙ্গে যোগসূত্র অস্বীকার করছেন বিচারপতি বর্মা। প্রসঙ্গত, অগ্নিকাণ্ডের রাতে, বিচারপতি বর্মা এবং তাঁর স্ত্রী মধ্যপ্রদেশে ছিলেন। তাঁর মেয়ে এবং বৃদ্ধা মা বাড়িতে ছিলেন।

 




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দীর্ঘ  দু’দশকের প্রতীক্ষার অবসান, অবশেষে সিবিএসই’র স্বীকৃতি পেল লাদাখের র‍্যাঞ্চো স্কুল

তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক! হুমকি ইমেল ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য, চলছে তল্লাশি

মন্দির ধ্বংসের হুমকি দিয়ে মুসলিম যুবক মাতলেন পহেলগাঁও হামলার আনন্দে, উচিত শিক্ষা দিলেন স্থানীয়রা

আর্থিক লেনদেনে বিমানবন্দর-সহ প্রকাশ্য স্থানের Wi-Fi ব্যবহার না করার জন্য সতর্ক করল কেন্দ্র

সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়, বাজেয়াপ্ত BMW, ২৮ একর জমি

পহেলগাঁওকাণ্ডের জের, নিয়মের গেরোয় মাকে ছেড়ে পাকিস্তানে ফিরতে হল একরত্তি শিশুকে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর