নিজস্ব প্রতিনিধি: অরুনাচলে ভারত চিন আতঙ্কের মাঝে হঠাৎই মাছ আতঙ্ক। শুক্রবার দেখা গেল অরুণাচলের একটি নদীর জলের রং কোনও এক অজ্ঞাত কারণে পাল্টে গিয়েছে। স্বচ্ছ, পরিষ্কার নদীর জলের রং পাল্টে হয়েছে হাকুশ কালো। আর সেই দূষিত জলেই ভাসছে হাজার হাজার মরা মাছ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে অরুণাচলের পূর্ব কামেং জেলার সেপ্পায়। তবে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার পিছনেও প্রত্যক্ষভাবে রয়েছে চিনের হাত।
জানা যাচ্ছে, অরুণাচলের সেপ্পার বাসিন্দারা হঠাৎই খেয়াল করেন যে শুক্রবার থেকে ওই এলাকার স্থানীয় একটি নদীর জলের রং পাল্টাতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে জলের ওপর ভেসে উঠছে একের পর এক মরা মাছ। দিন যত বাড়তে থাকে মরা মাছের সংখ্যাও ততই বাড়তে থাকে। এরপর রাতেভ দিকে দেখা যায় নদীর জল পুরো কালো রং ধারণ করেছে। পাশাপাশি নদীর দুই তীরেই স্তূপের ন্যায় জমেছে মরা মাছ। এরপরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন জেলা মত্স দফতর। তারা তদন্ত করে দেখেন, জলে বেড়ে গিয়েছে টোটাল ডিজলভ সাবস্টেন্স বা টিডিএস। তাতেই অক্সিজেনের অভাব মারা গিয়েছে হাজার হাজার মাছ।
স্থানীয়দের দাবি এর পিছনেও রয়েছে চিনের হাত। সেপ্পা গ্রামের অধিবাসীদের অভিযোগ, সীমান্ত জুড়ে নানা রকম নির্মাণকাজ চালাচ্ছে বেজিং। আর সেই কারণেই নদীর জলে প্রচুর পরিমাণে অদ্রবীভূত পদার্থ মিশে গিয়ে জলকে দূষিত করে তুলছে। ফলত বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে জল। জলে অক্সিজেনের অভাবের কারণেই মারা গিয়েছে মাছগুলি। তবে ঠিক কোন জিনিস মিশে জলের এই অবস্থা হল তা এখনও পরিস্কার নয়।
এই ঘটনায় কার্যত নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের কথায় এর আগে কখনও ওই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেনি। তাই ঠিক কি কারণে এমন ভয়াবহ দূষণ ছড়াল জলে তার কারণ অনুসন্ধানে শুরু হয়েছে তদন্ত। অন্যদিকে, ওই নদীর জলে নামা এবং মাছ শিকারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।