নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি: মাসের পর মাস ধরে সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে এবার মুখ খুলল সর্বোচ্চ আদালত। কৃষকদের দায়ের করা একটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তাদের আন্দোলন, জাতীয় সড়ক অবরোধ, মাসের পর মাস ধরে বিক্ষোভ একটা শহরের ‘শ্বাসরোধ’ করেছে।
কৃষকদের সংগঠন কিষাণ মহাপঞ্চায়েত দিল্লির যন্তর-মন্তরের কাছে ধর্না সমাবেশের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। আবেদনে তারা জানায়, যন্তর-মন্তরে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চায়। আদালত যেন প্রশাসনকে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়।
সেই আবদনের শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং বিচারপতি রবিকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ কৃষক সংগঠনকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছে। সংগঠনের উদ্দেশে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের বার্তা ,”আপনারা ট্রেন চলতে দিচ্ছেন না। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এতদিন আপনাদের আন্দোলন ছিল শহরে উপকণ্ঠে। এখন আপনারা শহরের ভিতরে ঢুকতে চাইছেন। আপনারা কি চাইছে মানুষ কাজকর্ম বন্ধ করে ঘরে বসে থাকুক। আপনারা কি নিশ্চিত, যে মাসের পর মাস এই ধর্না সমাবেশের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে।” সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, কৃষি আইনের বিরোধিতা করে আপনারা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাহলে আর আন্দোলন কেন?
কৃষক সংগঠনের প্রতি আদালতের প্রশ্ন, ‘আপনারা কি বিচারবিভাগের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করছে? আজ আপনারা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। যার অর্থ বিচারবিভাগের প্রতি আপনাদের আস্থা রয়েছে। তাহলে কীসের জন্য মাসের পর মাসর ধরে এই আন্দোলন ?’
মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ অক্টোবর।