নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ত্রিপুরা পুরভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে। অন্যান্য বারের পুরভোটের থেকে চলতি বছরের পুরভোট পশ্চিমবঙ্গের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রথমবার রাজ্যের বাইরে কোনও অঙ্গরাজ্যে পুরসভার নির্বাচনে ভোটে লড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিজেপির লাগাতার সন্ত্রাসের জন্য ত্রিপুরায় শুধুমাত্র আগরতলা পুরসভায় ৫১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত বৃহস্পতিবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে পুরভোট হলেও খুশি নয় ঘাসফুল শিবির।
ভোটের আগে থেকে যে হারে সন্ত্রাস চলছিল তৃণমূল কিংবা সিপিএমের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে, অভিযোগ দুই দলের। ভোটে সেই মাত্রা দ্বিগুণ হারে বেড়ে যায়। রাজ্য পুলিশ ও ত্রিপুরা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী নিরাপত্তা দিলেও সন্ত্রাস অব্যাহত হয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে ত্রিপুরা পুরভোট নিয়ে প্রশাসনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিলেও ময়দানে বাস্তব চিত্রটা অন্য দেখা যায়। ঠিক যে আশঙ্কা করে তৃণমূলের তরফে বারবার সুপ্রিম কোর্টে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া কিংবা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হলেও বিচারপতির নির্দেশ কানে যায় নি সেরাজ্যের প্রশাসনের আধিকারিকদের কানে।
আগামী রবিবার আগরতলার ৫১ আসনের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সূত্রের খবর, প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদতেই ত্রিপুরায় ভোট সঠিকভাবে হয় নি। দেদার ছাপ্পা ও ভোট লুঠ হয়েছে ত্রিপুরার একাধিক আসনেই। তাই অবাধ ভোট না হওয়ায় তৃণমূলের তরফে ত্রিপুরাতে বিশেষ করে আগরতলায় আসন পাওয়া একটু কঠিন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সাধারণ মানুষের ভোটে আগরতলা পুরসভা দখলের চেষ্টায় মরিয়া ঘাসফুল শিবির। আগেই ত্রিপুরা গিয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হলে বিজেপি আগরতলায় পুরসভায়ব খাতা খুলতে পারবে না।’ এখন মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা আগামিকাল ত্রিপুরাতে ভাগ্য নির্ধারন হবে ঘাসফুলের।