নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা: হিমাচল প্রদেশের মতো ত্রিপুরাতেও কী দ্বিতীয়বার বিজেপির ক্ষমতা দখলের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবেন বিক্ষুব্ধরা। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই রাজ্যজুড়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিজেপির নিচুতলার নেতা-কর্মীরা। কোথাও-কোথাও দলীয় অফিসে তালাও ঝুলিয়েছিলেন। সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে দেখা গেল বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে কেউ তিপ্রা মোথার হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কেউ আবার নির্দল হয়ে লড়ছেন। আর দলের বিক্ষুব্ধ নেতারা বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
চলতি বিধানসভা ভোটে ৫৫ আসনে লড়ছে রাজ্যের শাসকদল। বাকি পাঁচটি আসন ছেড়ে দিয়েছে জোট সঙ্গী আইপিএফটিকে। গতবারের জয়ী সাত বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হয়নি। তার মধ্যে রয়েছেন কৃষ্ণপুরের বিধায়ক অতুল দেববর্মা। প্রার্থী না করার ক্ষোভে এদিন বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপিও ছেড়েছেন প্রবীণ বিধায়ক। নির্দল প্রার্থী হিসেবে কৃষ্ণপুর আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা উনকোটি জেলার প্রাক্তন সভাপতি রঞ্জন সিনহাও দল ছেড়েছেন। তিনি চণ্ডীপুর আসন থেকে লড়ছেন। জোলাইবাড়ি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি। ওই আসনে আইপিএফটি-কে ছেড়ে দিয়েছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু বহিরাগতকে প্রার্থী করায় এদিন বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা নির্দল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন বিকাশ রিংয়াকে।
প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভের জেরে গোটা রাজ্যজুড়েই বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। যুবরাজনগরের ধর্মনগরে অনুগামীদের নিয়ে দল ছেড়েছেন যুব মোর্চা প্রেসিডেন্ট নীহারেন্দু নাথ ও তমোজিৎ নাথ। বর্তমান বিধায়ক মলিনা দেবনাথকে ফের প্রার্থী করায় ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা। বেশ কয়েকটি জায়গায় মণ্ডল কার্যালয় খোলার মতো কর্মীও মিলছে না রাজ্যের শাসকদলের।