নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থান, দেবী দূর্গার মূর্তি, ইসকনের মন্দির ভাঙার ও আগুন ধরানোর প্রতিবাদ চলছে ত্রিপুরায়? গত দু’দিন ধরে সেখানে মুসলিমদের বাড়ি ভাঙচুর, মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে সেরকম কিছুই ঘটনা ঘটেনি। সবটাই ভুয়ো খবর, ফেক ছবি ছড়ানো হচ্ছে। গত বুধবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি মিছিল ঘিরে অশান্তি হয়েছিল। সে সময়ই মুসলিমদের ধর্মস্থানে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা পুলিশ টুইটার বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই এলাকায় মুসলিমদের ধর্মস্থান অক্ষত এবং সুরক্ষিত রয়েছে।
আর এই ঘটনায় গর্জে উঠেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। টুইটে কেন্দ্রকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন রাহুল। পাশাপাশি ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি টুইটে বলেছেন, ‘আমাদের মুসলিম ভায়েরা ঘৃণ্যভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা হিন্দুর নাম করে হামলা চালায়, অন্যের ক্ষতি করে তারা প্রকৃত হিন্দু না। তারা ছদ্মবেশী। আর কতদিন সরকার কানা ও বোবা হয়ে বসে থাকবে?’ রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখারও আবেদন জানিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ধর্মনগর-সহ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
এছাড়াও এই হামলার ঘটনায় বিজেপি দলের পাঁচ নেতার নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়েছে। তারাই হামলার ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও ত্রিপুরা বিজেপির তরফে এই ঘটনার পিছনে সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থাকার কথা বলেছে। ২০২৩ নির্বাচন আর তার আগে ত্রিপুরায় গণ্ডগোল পাকিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নিতেই তৃণমূল ও সিপিএম করেছে, বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।