নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্গাপুরের মেডিক্যাল ছাত্রীর গণধর্ষণে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরব। বিশেষ করে, বিজেপি রাজনীতি করছে। শাসকদলের বিরোধীতা করে জায়গায় জায়গায় প্রতিবাদী মিছিল ডাকছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সেখানকার স্থানীয় এবং উড়িষ্যার বাসিন্দা। তবে বাংলার ঘটনায় যেখানে বিজেপি সরব, সেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরাতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। ১৪ মাস বয়সী শিশুকেও ছাড়ল না নরপিশাচ রা। হ্যাঁ, ত্রিপুরায় এক ১৪ মাস বয়সী শিশু যৌন লালসার শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর শিশুকন্যাকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখল দুষ্কর্মকারী। ধানজমি থেকে উদ্ধার করা হল শিশুকন্যার দেহ। অভিযোগ, এক দিনমজুর শ্রমিক ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে ত্রিপুরার পানিসাগরে।

পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার (১১ অক্টোবর) ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই অসমের নীলামবাজার থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানিসাগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন্ত ভট্টাচার্য। পুলিশ কর্মকর্তা আরও জমিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুটির পরিবারের পরিচিত। ঘটনার দিন তিনি শিশুটিকে বাইরে বেড়াতে যাওয়ার অজুহাতে মায়ের কাছ থেকে নিয়ে যায়। তিন ঘন্টা পরেও অভিযুক্ত ব্যক্তি ফিরে না আসায় মেয়েটির মা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শিশুটির পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসী রা তাকে খুঁজতে শুরু করেন। এরপর ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে শিশুটির পরিবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে, শিশুটির মৃতদেহ একটি ধান ক্ষেতে পুঁতে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের পর তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

অভিযুক্তকে ধরার জন্য একটি অনুসন্ধান অভিযান শুরু করা হয়। অবশেষে ১২ অক্টোবর, রবিবার অসমের নীলামবাজার থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আগরতলার একটি আদালতে হাজির করা হবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে দেশে শিশু ধর্ষণের কথা প্রথম নয়। গত জুন মাসে মুম্বইয়ের যোগেশ্বরীতে ১০ বছর বয়সী এক মেয়ের গোপনাঙ্গে স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল। জানা যায়, ২৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি, নির্যাতিতার মায়ের প্রেমিক ছিলেন। যিনি নাবালিকা মেয়েটিকে যৌন নির্যাতন করে তার গোপনাঙ্গে ধারালো স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে দেয়। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে মেঘওয়াড়ি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত-তার বান্ধবী উভয়কেই গ্রেফতার করে পুলিশ।