নিজস্ব প্রতিনিধি: একেই বলে উচিত শিক্ষা! মুখ্যমন্ত্রীর বারাণসী পরিদর্শনের সময় রাস্তায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াল ষাঁড়, তা দেখামাত্রই পুরসভার ১৪ জন ঠিকাদার কর্মচারীকে বরখাস্ত করল পৌর প্রশাসন। সম্প্রতি বারাণসী পরিদর্শন সফরে বেরিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী। সেই সময়েই বারাণসীর কবিরচৌড়া এলাকার মহাসড়কের মাঝে একটি ষাঁড়কে হাঁটাহাঁটি করতে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে যান আদিত্যনাথ যোগী। সঙ্গে সঙ্গে বারাণসী পৌর কর্পোরেশনের কর্তব্যে ত্রুটি ধরেন যোগী। ব্যস! তাতেই মাশুল গুণতে হল ১৬ জন পুর কর্মীকে।

জানা গিয়েছে, গত ১২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বারাণসী সফরে ছিলেন। এই সময় বারাণসীর পৌর প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, কোনও অবস্থাতেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত রুটে যেন বেওয়ারিশ প্রাণী দেখা না যায়। তা সত্ত্বেও, কবিরচৌড়া এলাকায় পরিদর্শনের সময়, রাস্তায় একটি ষাঁড়কে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়, যা স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর সফরে একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অবশেষে পুরসভার কর্মীদের এই অবহেলাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে, পৌর কমিশনার অক্ষত ভার্মা মোট ১৬ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

বারাণসী পুর কর্পোরেশনের পশুচিকিৎসা ও কল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, যার কারণে তাদের উত্তর প্রদেশ পৌর কর্পোরেশন পরিষেবা বিধি-১৯৬২ অনুসারে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি পৌর কর্পোরেশন প্রশাসন ১৪ জন আউটসোর্সড কর্মচারীকেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের নিয়োগকারী সংস্থা ওয়ারিয়র্স সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিসেসকে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করেছে। বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে রজত প্রজাপতি, রাকেশ প্রজাপতি, শুভম প্রজাপতি, নিশান্ত মৌর্য, দীপক শর্মা, রাম বাবু, রাজেশ কুমার, গঙ্গারাম, আশীষ প্রজাপতি, রাঘবেন্দ্র চৌরাসিয়া, অরবিন্দ যাদব, অঙ্কিত যাদব, লালধারী যাদব এবং শ্যাম সুন্দর রয়েছেন। সঙ্গে মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ওয়ারিয়র্স সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিসেসকে অপসারণকৃত কর্মীদের পরিবর্তে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল কর্মী সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং ভবিষ্যতে যদি সংস্থাটি একই রকম অবহেলা করে, তাহলে তাদের ‘Black Listed’ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।