এই মুহূর্তে




বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বেঙ্গালুরু, বুলডোজারে চেপে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন বিধায়কের




নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারী বৃষ্টিতে ডুবেছে বেঙ্গালুরুর একাধিক প্রধান শহর। টানা ৪৮ ঘন্টা বৃষ্টিপাতের কারণে শহরের বেশ কয়েক টি নিচু জায়গায় জল জমেছে। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে গিয়েছে। ভারী জলাবদ্ধতার কারণে অনেক গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েছে। অনেক যানবাহন আংশিকভাবে জলে ডুবে গিয়েছে। যার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই বেঙ্গালুরু কুখ্যাত যানজটের জন্য পরিচিত। তার মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত জনজীবনকে রীতিমতো থমকে দিয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে নোরযা ড্রেনের জল। এই হাঁটু সমান জল নিয়েই চলাফেরা করতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। আর এই জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করতে বুলডোজার চেপেই বেরিয়ে পড়েছেন স্থানীয় বিধায়ক।

রাস্তাঘাট রীতিমতো নদীতে পরিণত হয়েছে। ধীর হয়ে গিয়েছে গণপরিবহন পরিষেবা। এমনকী আবাসিক এলাকার অনেক বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। যাতে প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলের তলায় ডুবে গিয়েছে বাড়ির ভিতরে নানা গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র। তাতে ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় শহরটির প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। এমতাবস্থায় এলাকার স্থানীয় বিধায়ক বি বাসভরাজ জেসিবিতে চেপে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ যেন মানবিক রূপ! জলমগ্ন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন তিনি। কর্তৃপক্ষ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দূর করতে জেসিবি ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন। কারণ ছোটো চাকার গাড়ি জলে ডুবে যাচ্ছে। বন্যার জলে নিত্য যাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। নীচু এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। তাই জেসিবি দিয়েই এলাকা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিধায়ক বি বাসভরাজ।

জানা গিয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু আরবান, বেঙ্গালুরু রুরাল, কোলার, চিক্কাবল্লাপুরা, তুমাকুরু, মান্ড্যা, মাইসুরু, হাসান, কোডাগু, বেলাগাভি, বিদার, রায়চুর, যাদগির, দাভানগেরে, চিত্রদুর্গা, সাই লেআউট এবং হোরামাভু। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) উপকূলীয় কর্ণাটকে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য ‘হলুদ’ সতর্কতা জারি করেছে। উত্তর এবং দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটকে খুব বৃষ্টিপাতের জন্য ‘কমলা’ সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, “১৯ থেকে ২২ মে পর্যন্ত উত্তর অভ্যন্তরীণ জেলাগুলিতে এবং উপকূলীয় জেলাগুলিতে বজ্রপাত-সহ বিক্ষিপ্ত থেকে ব্যাপক মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে,” কর্ণাটক রাজ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র X-এর একটি পোস্টে জানিয়েছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

একদিনেই ৫ ড্রিমলাইনার বিমান উড়ান বাতিল এয়ার ইন্ডিয়ার, আতঙ্কিত যাত্রীরা

খামেনির দশা হবে সাদ্দাম হুসেনের থেকেও খারাপ, হুঙ্কার ইজরায়েলের

মুক্তিযুদ্ধে একাই খতম করেছিলেন ৬ রাজাকারকে, না ফেরার দেশে বীরাঙ্গনা সখিনা

বেটিং অ্যাপের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা ইডির, নজরে হরভজন, যুবরাজ, রায়নারা

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ভারতীয় ক্রিকেটারের! খেলতেন লিডস মডার্নিয়ান্স ক্লাবে

ফের বিমানে বোমাতঙ্ক, নাগপুরে জরুরি অবতরণ

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ