নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ফের কুসংস্কারের শিকার নাবালিকা। ঝাড়খণ্ডের চাতরা জেলার বাসিন্দা এক ১৪ বছরের কিশোরীর শরীরে ভর করছে দুষ্ট আত্মা, এমন দাবি করে তাঁর ওপর নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে খবর। প্রেতাত্মা তাড়াতে তাঁকে বেধড়ক মারধোর করার পাশাপাশি তাঁকে শরীরের একাধিক জায়গায় ধুপকাঠির ছেঁকাও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনার মূল চক্রী ওই ওঝাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ওই ওঝা ১৪ বছরের ওই কিশোরীর ওপর এমন নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে যে ওই কিশোরী মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যে কিশোরীর ওপর এই নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছে সে হোলির দিন থেকেই অসুস্থ। তার অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে দেখতে আসে মওলানা মোঃ ওয়াহিদ নামের ওই ওঝা। কিশোরীকে ভালো করে পরীক্ষা করার পরে জানায়, ওই কিশোরীর শরীরে বাসা বেঁধেছে এক দুষ্ট আত্মা এবং অবিলম্বে তাঁকে না তাড়ালে আরও বড় বিপদ হবে। এরপরেই ভূত তাড়াতে ওই কিশোরীর ওপর শুরু হয় ভয়ানক অত্যাচার। চারদিন ধরে একটানা ওই কিশোরীকে মারধর করা হয় বলে খবর। এর সঙ্গেই তার শরীরের নানা জায়গা ধুপকাঠির ছেঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। ওই কিশোরীর মুখ, জিভ, ঠোঁট ও হাতে এমন একাধিক পোড়া দাগ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
বর্তমানে ওই কিশোরী গুরুতর আহত অবস্থায় রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স (RIMS) হাসপাতালে ভর্তি। অন্যদিকে ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে রবিবার সকালে ওই ওঝাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।