নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ থেকে অনেকগুলো বছর আগে জার্নি শুরু করেছিল আবার বৈঠক। দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক সংলগ্ন এই ক্যাফেটেরিয়াটি প্রায় সকলেরই পরিচিত। বর্তমানে যার সমস্ত দায়িত্বভার এর বর্তমান কর্ণধার স্বরলিপির ওপরেই। এক সময় টেলিভিশনের পর্দায় তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। শুধু তাই নয় স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন দেখা যেত অফস্ক্রীন-অনস্ক্রীন উভয় ক্ষেত্রেই।
এই মুহুর্তের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলাপচারিতা শুরুর আগে স্বরলিপি জানান, বর্তমান কোন পদবী ব্যবহার করেন না তিনি। একটা সময় স্বরলিপি ও তাঁর অভিনেতা স্বামী দুজনেই আবার বৈঠকের ভাবনায় সামিল ছিলেন। দুজনের ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় ‘আবার বৈঠক’। কিন্তু হঠাৎ করেই এক দুর্ঘটনা ঘটে যায় স্বরলিপির জীবনে। বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে স্বরলিপি ও তাঁর স্বামীর। ততদিনে জীবনে এসেছে নতুন অতিথি সহচরী ওরফে পুটুলি। অর্থাৎ তাঁদের মেয়ে পুটুলি। মেয়ের জন্মের কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে গিয়েছিলেন স্বামী। এক অসহায় পরিস্থিতি, সদ্যোজাত শিশু, ঋণের বোঝা এবং তার সঙ্গে কফিশপ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া। সবটাই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল স্বরলিপির কাছে। আমাদের আশেপাশে যে মহিলারা দুহাতে সংসার, সন্তান, বাইরের জগৎ সবটা সামলান তাঁদের মধ্যে স্বরলিপি একজন। তিনি আমাদের ‘আজকের দশভূজা’।
আজ এক থেকে দুই হয়েছে আবার বৈঠক। যোধপুর পার্কের পর নরেন্দ্রপুরে খুলেছে তার দ্বিতীয় আউটলেট। ‘আবার বৈঠক আবোল-তাবোল’। কিন্তু এই আবার বৈঠকের দ্বিতীয় আউটলেট খোলার নেপথ্যে রয়েছে একটা বড় ঘটনা। যাকে স্বরলিপি একপ্রকার ঠেকে শেখা মনে করেন। মাত্র একটা বছর আগে স্বরলিপি হায়দ্রাবাদে সাহসের ওপর ভর করে উড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে এক প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হন। প্রচন্ড ভাবে মিস করতে থাকেন মেয়ে পুটুলিকেও। এরপরই সমস্ত আসবাব ও জিনিসপত্র একদিনের মধ্যে গুছিয়ে নিয়ে উড়ে আসেন কলকাতায়। সেই জিনিসগুলো দিয়েই নরেন্দ্রপুরে খুললেন তিনি ‘আবার বৈঠক আবোল তাবোল’। সমস্ত কাজ সামলে আবার অভিনয়ে ফিরবেন তিনি এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।