নিজস্ব প্রতিনিধিঃ একটা সময় ছিল যখন পুজো আসলেই সঙ্গে আসত একরাশ ভালোলাগা আর তার সঙ্গে পূজাবার্ষিকী, পুজো সাহিত্য, পুজোর গান, পুজোর সিনেমা, পুজো স্পেশ্যাল আরও অনেক কিছু। তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে অনেক সময় পুরানো জিনিসকে পিছনে ফেলে আসি আমরা। শারদীয়ার অর্থ এক একটা বয়সে এক এক রকম। কাজের চাপে হারিয়ে যায় পুজোর উন্মাদনা। নতুন জামার গন্ধ, নতুন জুতোয় ফোস্কা পড়া পা, আইসক্রিম, অষ্টমীর অঞ্জলি, মায়ের পাটভাঙা শাড়ি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই ফিকে হয়ে আসে।
কর্পোরেট সেক্টরের কাজের চাপে আর সেভাবে হয়ে ওঠে না বন্ধুদের সঙ্গে পুজোর আড্ডা। কিন্তু ছেলেবেলা যতই হারাক মনের আনন্দকেই সঙ্গে নিয়ে কেটে যায় একটা পুজো চলে আবার আগামী বছরের পুজোর প্ল্যান। এই তালিকায় রয়েছেন টালিগঞ্জের তারকাসহ নানা ক্ষেত্রের গুণীজনেরা। এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে পুজোর দিন গুলো কাটানোর পরিকল্পনা ভাগ করে নিলেন সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
অভিনেতা, বাচিক শিল্পী সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় জানান, পুজো এলে বাবাকে মিস করেন তিনি। মিস করেন ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে কাটানো পুজো। পুজোর সময় ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে ডিনারে যেতেন। আজ বাবা নেই তবে সেই স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সুজয়প্রসাদের চিন্তনে মননে। আর তাই বছরের এই চারটে দিন ভালোলাগা আর স্মৃতিতে জড়িয়ে এক অন্যরকম পুজো কাটে তাঁর। আর সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মিস করেন কয়েকবছর আগের তাঁর পুজোর কনসার্ট। পুজোয় তাঁর সেভাবে কোনও প্ল্যান নেই তবে শান্তিনিকেতনে যেতে পারেন বলে জানান।