নিজস্ব প্রতিনিধি: তথাগত মুখোপাধ্যায়–দেবলীনা দত্ত টলিউডের বিখ্যাত জুটি। সব থেকে যা নজর কাড়ে তাহল এই তারকা দম্পতির পোষ্য প্রেম। পুজোয় তাঁরা দুজনেই ছবির শুটিংয়ে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থাকছেন। এই কদিন প্রচন্ড মিস করবেন তাঁদের সন্তানতুল্য পোষ্যদের। এই মুহুর্তের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে পুজোর স্মৃতি ভাগ করলেন ফোনের ওপার থেকে অভিনেতা–পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়।
পুজোর কি প্ল্যান?
বহু বছর ধরেই পুজোয় আমি কলকাতায় থাকিনা। পুজোয় বেড়াতে চলে যাই। তার কারণ একটাই, কলকাতার পুজোর আমূল পরিবর্তন। পুজোটা তো এখন আর পুজো নেই। প্রতিযোগিতা হয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞাপনের পুজো হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই পুজোর যে আসল অর্থ বা পুজোর যে মাহাত্ম্য সেটাই হারিয়ে গিয়েছে। অবশ্য সব কিছুরই পরিবর্তন আসে এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। কিছু পরিবর্তন ভালোর জন্য হয় কিছু পরিবর্তন খারাপের জন্য। আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় এই পরিবর্তন কাম্য নয়। আর তাই বহু বছর ধরেই কলকাতার পুজো থেকে আমি অনেকটা দূরে থাকি।
এ বছর পুজোয় গন্তব্য কোথায়?
অন্যান্যবার বেড়াতে যাই। ২০১৭ সালে অবশ্য পুজোর আগে লম্বা ছুটি নিয়ে একটা ছবি বানিয়েছিলাম। এ বছরেও সেটাই হচ্ছে। আপাতত আমি আর দেবলীনা শুটিংয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাইরে। সহ প্রযোজনায় ও আমার পরিচালনায় নতুন হিন্দি ছবি আসতে চলেছে। ‘ভটভটি’-র মতো এই ছবিতেও দেবলীনা কস্টিউম ডিজাইনার। ছবি সম্পর্কে সমস্ত তথ্যই আপাতত গোপন থাক। বিষয়টা ক্রমশ প্রকাশ্য।
পুজোতে সবথেকে বেশি কোনটা মিস করেন?
পুজোতে সবথেকে বেশি যেটা এখন মিস করি সেটা হল বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। কত বড় রেস্তোরাঁয় বসে খাচ্ছি সেটা বড় কথা নয়। কোনও খাবার সবাই মিলে ভাগ করে খাওয়া, আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে চকিতে দেখা হওয়া, কথা বলা এগুলো খুব মিস করি। তবে এখন সবাই ভীষণ মেকি জিনিসের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। যেটা আমার সঙ্গে একেবারেই যায় না। আমি উত্তর কলকাতার ছেলে ওখানকার বারোয়ারি পূজা দেখেই বড় হয়েছি তাই সেগুলো খুব মিস করি। আপাতত আমি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যেখানে আছি সেখানে পুজো হয়না। আগামী দিনে হয়তো কোনও বছর পুজোয় থাকবো। তবে সেটা একেবারেই কোনও বাড়ির পূজোতে থাকার ইচ্ছা আছে।
এত ব্যস্ততায় পুজোর শপিং কতদূর এগলো?
পুজোর শপিং সমস্ত দেবলীনাই সামলায়। আমার সেই অর্থে কোনও শপিং নেই। যদিও আমাকে ফ্যাশন ডিজাসটার বলা যেতে পারে। আমি বেশ কিছু জামা কাপড় কিনেছি। সেগুলো শুটিংয়ের কদিন পড়ব। এছাড়াও আমার যে টেকনিশিয়ান ভাইরা আছে তাঁদের জন্য আমি পুজোর জামা কাপড় কিনেছি।
পোষ্যরা কেমন আছে?
এই কদিন থাকবো না। ওদের খুব মিস করবো। ওরাও খুব মিস করবে আমাদের। আসলে যখন থেকে বাইরে যাওয়ার আগে সুটকেস গোছানো শুরু করি তখন থেকেই ওরা কান্নাকাটি শুরু করে। ওদের দেখাশোনার জন্য একজন রয়েছেন। যাঁর ওপরে সমস্ত দায়িত্ব থাকবে। তিনিই ওদের দেখভাল করবে।
পুজোয় পোষ্যদের জন্য আলাদা করে কোনো উপহার কেনার প্ল্যান আছে ?
বাইরে গেলেই ওদের জন্য উপহার নিয়ে আসা হয়। পুজো বলে আলাদা কিছু নেই। ওরা সারা বছরই গিফট পায়।