নিজস্ব প্রতিনিধি: সোনার মাস্কের পর এবার সোনার শাড়ি পরছে বাগুইআটির অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা। দশভূজার অস্ত্রেও রয়েছে অভিনবত্বের ছোয়া। করোনাকালে এমন ভারী বাজেটের প্রতিমা অবশ্য়ই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এর জন্য আলাদা করে বাজেটে কোনও সংযোজন করতে হয়নি। পুরোটাই স্পনসর।
বাগুইআটির অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল ক্লাবের এবারের থিমের নাম ‘অরুণ’। আসলে প্রয়াত মৃৎশিল্পী অরুণকুমার পালকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই থিমের ভাবনা। মণ্ডপ গড়ে তুলছেন শিল্পী সম্রাট ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, শিল্পী অরুণকুমারের কর্মশালা ফুটিয়ে তোলা হবে মণ্ডপে। কীভাবে প্রতিমা গড়ে তুলতেন, সেই দৃশ্যও দেখা যাবে। সাজানো থাকবে বেশ কয়েকটি দুর্গা-সহ অন্যান্য দেবদেবীর প্রতিমা। সেগুলি প্রতিটাই শিল্পী অরুণকুমারের গড়ে তোলা। মণ্ডপে একাধিক দুর্গা থাকায় ঠাকুরবেদীর দুর্গাকে কিছুটা অন্যরকম করতে চেয়েছিল উদ্যোক্তারা। প্রতিমার মুখে সোনার মাস্ক পরিয়ে আগেভাগেই কলকাতার পুজোয় সাড়া ফেলে দিয়েছিল বাগুইআটির অশ্বিনীনগর বন্ধুমহল ক্লাব। এবার আরও বড় চমক দিচ্ছে তারা।
করোনা মহামারির আবহে যেখানে বেশিরভাগ পুজোকেই বাজেটে কাটছাঁট করতে হচ্ছে, সেখানে এই পুজোয় সোনার শাড়িতে সাজবেন মা! তা অনেকের চোখেই দৃষ্টিকটু বলে মনে হতেই পারে। যদিও পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা স্বরূপ নাগ জানান, আসলে শহরের একটি জনপ্রিয় শাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাই প্রতিমাকে সোনার শাড়িতে সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে। এতে ক্লাবের কোনও খরচ হয়নি। শাড়িটি আর পাঁচটি বেনাসরি শাড়ির মতোই দেখতে। শুধুমাত্রত শাড়ির পাড়ে থাকবে সোনা। সোনার মাস্ক ও শাড়িই দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। তবে শুধু সোনার মাস্ক বা শাড়িই নয়, দশভূজার অস্ত্রেও রয়েছে অভিনবত্ব। মায়ের দশ হাতে খড়্গ, শঙ্খ, চাঁদমালার বদলে থাকবে সার্জিক্যাল মাস্ক, থার্মাল গান, অক্সিমিটার, ভ্যাকসিন, ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ। তাঁদের প্রার্থনা, নতুন এই রূপে মায়ের আরাধনায় বধ হবে ‘করোনাসুর’। পুজোর প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে।