এই মুহূর্তে




পুজোর ছুটিতে অন্য স্বাদ পেতে ঘুরে আসতে পারেন সাহিবগঞ্জে




নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে, বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। সুযোগ পেলেই বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। সামনেই পুজো। অনেকেই কলকাতার কোলাহল থেকে দূরে থাকতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। আপনার হাতে যদি সময় অল্প থাকে তাহলে আপনার পুজোর ছুটি কাটানোর আদর্শ স্থান হতে পারে ঝাড়খণ্ডের  সাহিবগঞ্জ। কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টা দূরে অবস্থিত একটি অসাধারণ ট্যুরিস্ট স্পট। যদিও এই জায়গাটি এখনও তেমন ভাবে সামনে উঠে আসেনি তাই পর্যটকদের ভিড় অনেকটাই কম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়, জলপ্রপাত এবং ইতিহাসের সমাহার নিয়ে এই স্থানটি সত্যিই একটি ভ্রমণকারীর স্বপ্ন। এই প্রতিবেদনে আমরা সাহিবগঞ্জের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান নিয়ে আলোচনা করব।

ভ্রমণের প্রস্তুতি

সাহিবগঞ্জে যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রথমত, আপনার যাত্রার সময়সূচি এবং স্থানীয় পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নেবেন। কলকাতা থেকে সাহিবগঞ্জে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ট্রেন এবং বাসের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি হাওড়া স্টেশন থেকে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠতে পারেন।

কিভাবে পৌঁছাবেন?

কলকাতা থেকে সাহিবগঞ্জে পৌঁছানোর জন্য আপনি ট্রেন, বাস বা গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। হাওড়া স্টেশন থেকে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে সাহিবগঞ্জ পৌঁছানো সম্ভব।

সাহিবগঞ্জের দর্শনীয় স্থান

সাহিবগঞ্জে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান উল্লেখ করা হলো:

  • মোতি ঝর্ণা: এই জলপ্রপাতটি সাহিবগঞ্জের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  আপনাকে মুগ্ধ করবে এবং আপনি এখানে পিকনিকও করতে পারেন।
  • শিব গড়ি: এটি একটি ধর্মীয় স্থান যেখানে বহু ভক্তরা আসেন। এখানের শান্ত পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য  পর্যটকদের আকৃষ্ট করবেই।
  • মিনি বাবা ধাম: এই স্থানটি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে। এখানে অনেক দর্শনার্থী আসেন প্রার্থনা করার জন্য।
  • ফসিল পার্ক: এই পার্কটি জীবাশ্মের প্রতি আগ্রহী মানুষের জন্য একটি বিশেষ স্থান। এখানে বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম দেখা যায়।
  • রাজমহল: রাজমহল একটি ঐতিহাসিক স্থান যা আপনাকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের সাথে পরিচিত করিয়ে দেবে।

সাহিবগঞ্জে কী করবেন?

  • ট্রেকিং: সাহিবগঞ্জের চারপাশে অনেক সুন্দর ট্রেকিং পাথ রয়েছে। আপনি বন্ধুদের সাথে ট্রেকিং করতে পারেন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
  • স্থানীয় খাবার উপভোগ: এখানে স্থানীয় খাবার খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে ঝারখণ্ডের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলি চেখে দেখতে ভুলবেন না।
  • ছবি তোলা: প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং ঐতিহাসিক স্থানের ছবি তোলা বর্তমান সময়ে একটি অপরিহার্য কাজ।
  • সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: স্থানীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারেন।

ভ্রমণের জন্য সেরা সময়

সাহিবগঞ্জে যাওয়ার জন্য সেরা সময় হল শীতকাল, বিশেষ করে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। এই সময় আবহাওয়া খুবই মনোরম থাকে এবং ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত।

থাকার ব্যবস্থা

সাহিবগঞ্জে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল এবং গেস্ট হাউস রয়েছে। এখানে আপনি বাজেটের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা পাবেন। হোটেল বা গেস্ট হাউসেও খাবারের সুব্যবস্থা থাকে।

ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস

সাহিবগঞ্জের ভ্রমণে কিছু টিপস মনে রাখতে পারেন:

  • প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে, আপনার পোশাক আরামদায়ক এবং উপযুক্ত হওয়া উচিত।
  • যাত্রার সময় পর্যাপ্ত জল এবং স্ন্যাকস নিয়ে যেতে ভুলবেন না।
  • স্থানীয় ভাষা কিছুটা জানলে সুবিধা হয়, তবে ইংরেজি ও হিন্দি এখানে প্রচলিত।

সাহিবগঞ্জ একটি চমৎকার জায়গা যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দারুণ মেল বন্ধন ঘটায়। এখানে এসে আপনি আপনার ব্যস্ত জীবনের চাপ থেকে মুক্তি পাবেন এবং প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটাতে পারবেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় ৪৫৪ বছরের শিবের কোঠার দুর্গাপুজো সংকল্পিত হয় যোধাবাঈয়ের নামে

পুজো মানেই ছোট্ট টিপ, হালকা লিপস্টিক আর শাড়ি: মধুমিতা সরকার

কোল্ড ড্রিঙ্কস অমলেট! পুজোর কলকাতা মাতাচ্ছে নতুন স্ট্রীট ফুড

পুজোর আগেই জেনে নিন দশমীর দিন কেন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ?

পুজোয় ঠাকুরবাড়ির স্বাদে চিড়ের খিচুড়ি! জেনে নিন সহজ পদ্ধতি

মন ভাল নেই, জাঁকজমকভাবে হচ্ছে না বাড়ির পুজো, হঠাৎ কী হল সুদীপার?

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর