নিজস্ব প্রতিনিধি, জগাছা: শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর মধ্যে আবদ্ধ না থেকে নানা ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি। তার মধ্যে অন্যতম হাওড়ার জগাছা ইয়ুথ কেয়ার (গ্রামবাসীবৃন্দ)। এবছর এই পুজোর সুবর্ণ জয়ন্তী। আর সেই উপলক্ষ্যে পুজোর আয়োজনেও রয়েছে জাঁকজমক। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত সরকারি গাইডলাইন মেনেই চলছে প্রস্তুতি।
পুজো কমিটির সম্পাদক সুকান্ত ভুঁইয়া জানান, এবছর ৫০ বছরে পা দিল জগাছা ইয়ুথ কেয়ারের পুজো। আর তাই বিশেষ চমক থাকছে। থিমের মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে হাতপাখা ও গামছা দিয়ে। তবে প্রতিমা প্রতিবারের মতোই সাবেকি। প্রতিমা গড়ে তুলছেন জনপ্রিয় মৃৎশিল্পী শঙ্কর পাল। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি।
পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, প্রতিবছর ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এলাকার দিকপাল শিল্পী থেকে কৃতিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় ওইদিন, হয় বস্ত্র বিতরণ। এবছরও কর্মসূচির কোনও পরিবর্তন হবে না। একইরকমভাবে সপ্তমীর দিন অনুষ্ঠিত হবে ধুনুচির নাচ। তবে পুজোর মূল আকর্ষণ, অষ্টমীর দিন মহিলাদের নিয়ে নানা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান। নবমীর দিন বিচিত্রা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর সরকারি গাইডলাইন মেনেই হবে বিসর্জন। পুজোর দিনগুলিতে মণ্ডপ স্যানিটাইজারের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের মাস্ক বিলিও করা হবে।
তবে শুধু পুজোর দিনগুলিতেই নয়, সারাবছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন পুজোর উদ্যোক্তারা। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সহায়ক যন্ত্র বা গাড়ি বিতরণও করা হয়। যদি কোনও গরিব পরিবারের মেধাবী পড়ুয়া অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে না পারে, তাহলে সেই সমস্ত পড়ুয়াদের সারাবছর পড়াশোনার খরচও জোগায় এই উদ্যোক্তারা। এখানেই শেষ নয়, করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, স্যানিটাইজার সরবরাহ থেকে শুরু করে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে সবসময়। আমফান ও যশের কারণে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের মানুষের কাছেও সাহায্য পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা।