নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: প্রায় ২৫ লক্ষ থেকে একধাক্কায় আড়াই লক্ষ টাকায় বাজেট কমানো হয়েছিল গতবার। তোলা হয়নি চাঁদাও। ছিল না কোনও আড়ম্বর। কিন্তু গতবছরের তুলনায় এবছর অবশ্য করোনার দাপট কিছুটা কমেছে। আর তাই মেদিনীপুর শহরের সবচেয়ে বড় পুজো রাঙামাটি সর্বজনীন এবছর সামান্য বাজেটও বাড়িয়েছে। চমক থাকছে মণ্ডপসজ্জায়, দুর্গা প্রতিমাতেও। এবছর রাঙামাটি সর্বজনীনের পুজো ৫৩ বছরে পা দিল।
দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ভিড় হবে, এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু করোনাকালে বদলে গিয়েছে ছবিটা। তাতে যদিও এতটুকু মন খারাপ নেই রাঙামাটি সর্বজনীনের উদ্যোক্তাদের। সম্পাদক কল্যাণ কুইল্যা জানান, তাঁরাও চাইছেন না প্রচুর ভিড় হোক। তবে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি অকর্ষণের জন্যই থিমের পুজো। এবছরও অন্যথা হচ্ছে না। এবছরের থিম ‘ধামসা-মাদলের দেশে, মা আপন বেশে’। সম্পাদকের কথায়, গোটা মণ্ডপটাই সাজিয়ে তোলা হবে ধামসা-মাদল দিয়ে। থার্মোকল, শালপাতা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। থাকবে আদিবাসী জনজাতির বিভিন্ন ধরনের জিনিস। দুর্গা প্রতিমাও গড়ে তোলা হচ্ছে আদিবাসীদের আদলে। গায়ে থাকবে আটপৌঢ়ে শাড়ি। এবছর মণ্ডপটাই তাঁদের মূল আকর্ষণ। তবে ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
আগে প্রতিবছর মণ্ডপ প্রাঙ্গণে বিরাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত। তবে গতবছর থেকে ওই অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে। গতবছরের তুলনায় এবছর কিছুটা জাঁকজমকপূর্ণ পুজোর আয়োজন করলেও সচেতনতার বার্তা থাকবে পরতে পরতে। সম্পাদক জানান, আগত দর্শনার্থীদের থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তামপাত্রা মেপে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সঙ্গে থাকবে স্যানিটাইজার। যারা মাস্ক পরে আসবেন না, তাঁদের জন্য থাকবে মাস্কের ব্যবস্থাও। সম্পাদকের কথায়, আগে তো সামাজিক সুরক্ষা জরুরি। এই কঠিন সময়ে মানুষকে সুস্থ রাখাই প্রধান লক্ষ্য তাঁদের। কারণ মানুষ বা সমাজ সুস্থ থাকলে আগামী দিনে আরও বড় করে পুজোর আয়োজন করা যাবে।